গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা ৮ নং ওয়ার্ড কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামে গতো ১৭/১/২০২০ইং শুক্রবার পৌর এলাকা কেওয়া পশ্চিম খণ্ড গ্রামের মোঃ নূর ইসলামের ছেলে, মোঃ রফিকুল ইসলাম, নামের এক সহজ স্বরল চায়ের দোকানদারকে ভুল করে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় শ্রীপুর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক এএস,আই কফিল উদ্দিন ও এএস,আই তোফায়েল। বন বিভাগ মামলা করেছিল করাত কলের মালিক রফিকুল ইসলামের নামে, আর আসামী হিসেবে পুলিশ ভুল করে ধরে নিয়ে যায়, সহজ স্বরল এক চা দোকানিকে। পুলিশ বলছে, গ্রেফতারি পরোয়ানায় থাকা তথ্যের ভিত্তিতেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন মনে হচ্ছে নামের মিল থাকায় গ্রেফতার করা ভুল হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া মোঃ রফিকুল ইসলাম পৌর এলাকা কেওয়া পশ্চিম খন্ড মসজিদ মোড় এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে। তিনি পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খণ্ড এলাকায় পাঁচ বছর ধরে চায়ের দোকান করে আসছেন। তাঁর জন্ম ২ এপ্রিল ১৯৭৭ সালে মায়ের নাম জামিনা খাতুন। কিন্তু মূল আসামী পৌর এলাকা কেওয়া পশ্চিম খণ্ড গ্রামের বেগুনবাড়ী এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে রফিকুল ইসলাম। তাঁর জন্ম ১৬ জানুয়ারি ১৯৮০ সালে তাঁর মায়ের নাম রহিমা খাতুন। তিনি করাত কলের মালিক। তিনি বন বিভাগ মামলার মূল আসামী হলেও বর্তমানে জামিনে আছেন বলে জানান।
জানা গেছে, ৮ জুলাই ২০১৫ সালে, শ্রীপুর সদর বিট অফিসার সহিদুর রহমান পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খন্ড বেগুনবাড়ী এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে রফিকুল ইসলামকে আসামী করে আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। সেই পরোয়ানা শ্রীপুর মডেল থানায় পৌঁছালে মামলার মূল আসামী করাত কলের মালিক রফিকুল ইসলামকে না ধরে। পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের মসজিদ মোড়ের সহজ স্বরল চা বিক্রেতা রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া চা, দোকানদার রফিকুলের স্ত্রী শিমু আক্তার মাতৃজগত টিভিকে বলেন।
গত ১৭/১/২০২০ইং শুক্রবার বেলা তিনটায় দোকানে চা বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তাঁর স্বামী। হঠাৎ করে শ্রীপুর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক এএস,আই কফিল উদ্দিন ও এএস,আই তোফায়েল তাঁর চায়ের দোকানে এসে চা পান করেন। একসময় এএস,আই কফিল উদ্দিন তাঁর নাম ও বাবার নাম জিজ্ঞেস করেন। চা পান শেষে পুলিশের দুই কর্মকর্তা বন বিভাগের মামলা আছে বলে তাঁর স্বামীকে ধরে নিয়ে যান। গ্রেফতার হওয়া, রফিকুলের বড় ভাই মোঃ নজরুল ইসলাম মাতৃজগত টিভিকে বলেন। তাঁদের বাড়ির আশপাশে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো বন নেই। অথচ বন বিভাগের মামলায় তাঁর ভাইকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।
শুধু নামের মিল থাকায় নিরপরাধ আমার ভাই এমন দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন। প্রকৃত আসামি রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন। ২০১৫ সালে বন বিভাগের ২০৫ নম্বর মামলায় তিনি আসামি। তবে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছেন। শ্রীপুর মডেল থানার এএসআই কফিল উদ্দিন মাতৃজগত টিভিকে বলেন। নাম ও বাবার নামে মিল থাকায় আমরা আসামী গ্রেফতার করি। আমরা আসামী গ্রেপ্তারের সময় সেখানে পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে বাবার নাম দেখে। তখন কেউ এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি। সঠিক প্রমাণ, সঠিক তদন্ত ছাড়া মূল আসামীর পরিবর্তে নিরপরাধ একজনকে গ্রেফতার করে আদলতে প্রেরণ,
এব্যাপারে জানতে চাইলে এএস,আই কফিল উদ্দিন মাতৃজগত টিভিকে বলেন। এখন জানলাম ভুল করে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছ, তিনি সহজেই ছাড়া পাবেন।
Leave a Reply