গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে
মোঃ গণি মিয়ার সভাপতিত্বে
মাসব্যাপী ‘তাঁতবস্ত্র হস্তক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রদর্শনীর নামে মেলার আয়জন করা হয়। মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, জে,এম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় উভয় স্কুলের অভিভাবক গন
ক্ষিপ্ত হয়ে মেলার স্টল ও মুল ফটক ভাংচুর করে।
সাপ্তাহিক বাজার থাকায় বিভিন্ন এলাকার লোকজন, অভিভাবক সহ, ছাত্ররা ০২/০১/২০২০ইং বৃহস্পতিবার সন্ধায় এ হামলা চালায়।
পরে গাজীপুর জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম (জাহিদ) সহ অন্যান্য নেত্রী বৃন্দ ২৪ ঘন্টা সময় দিয়েছেন।
মোঃ জাহিদুল ইসলাম (জাহিদ) বলেন।
১লা জানুয়ারি বই উৎসব
অনুষ্ঠান করতে দেখা যায় স্কুলের ক্লাস রুমে।
এতো বড় স্কুল মাঠ থাকার পরেও গত ১লা জানুয়ারি বুধবার ক্লাস রুমের ভিতরেই কমলমতি শিশুদের নতুন বই বিতরন করা হয়েছে
এতে উত্তেজিত হয়ে আপনারা যারা ছাত্র, ছাত্রীর অভিভাবক সহ যার এই হামলা চালিয়েছে আপনারা শান্ত হন আপনার কেউ নিজের হাতে তুলে নিবেননা আইন সবার জন্য সমান।
জাহিদুল ইসলাম, আরো বলেন
এখানে দুটি স্কুল আছে মাওনা কেন্দ্রীয় মসজিদ আছে এবং SSC পরিক্ষার আর বেশি দিন নেই
কয়েকদিন যাবত স্কুলের এসেমলি (পি,টি পেরট) বন্ধ রয়েছে, ছাত্রদের খেলাধুলা বিনোদনও বন্দ
স্কুল কমিটির কাছে জানতে চাই স্কুল মাঠ বন্দ করে
এঅবস্থায় এই স্কুল মাঠে, আপনারা কি করে বস্ত্র মেলা কি করে করতে দিচ্ছেন।
এই মাঠে প্রাইমারী স্কুল একটা উচ্চ বিদ্যালয়, মাওনা কেন্দ্রীয় মসজিদ এবং ঈদের নামাজের মাঠ থাকায় এটি আয়তনে বিশাল। এলাকাটি শহর আশেপাশে খালি জায়গা না থাকার কারনে জানাযার নামাজও এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ছাত্র, ছাত্রীর অভিভাবকদের নানা গুনজন, সমালোচনা গুরু হয়।
মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ্জাহান সিরাজ, দুঃখ প্রকাশ করে
জাতীয় দৈনিক মাতৃজগতকে জানান। স্কুল মাঠ না হয়ে অন্য কোন জায়গাতেও মেলাটি দিলে ভালো হতো, শিক্ষার্থীরা সকালের এসেম্বলী ক্লাস করতে পারছেনা।
এই বস্ত্র মেলার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেনা, স্কুল কমিটি এখানে মেলা দিয়েছেন।
এই বস্ত্র মেলার সভাপতি গণি মিয়া দৈনিক মাতৃজগতকে বলেন।
আমি উপর থেকে অনুমতি নিয়ে এই মাঠ ভাড়া নিয়ে মেলা করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্র, দৈনিক মাতৃজগতকে
জানায়।
মেলা শুরু হওয়ার পর যখন ভ্যারাইটি শো প্রচারের মাইকগুলো উচ্চশব্দে প্রচার করতে থাকবে তখন শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মনোযোগ নষ্ট হয়ে যাবে। এ ছাড়াও সামনে SSC পরীক্ষা। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করছি এবং এই বিদ্যালয় থেকে যেন মেলাটি সরিয়ে নেওয়া হয়।
ঘটনাস্থলে গিয়ে আরো দেখা যায় যে মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এর মাঠের মাঝখানে গর্ত করে ফোয়ারা তৈরীর কাজ চলছে যা স্থায়ীভাবে ইটা দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে।
মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব এ্যাডঃ মোঃ হারুন অর-রশিদ ফরিদ বলেন। মাঠটি আমাদের একার না, এখানে তিনটি মাঠ । মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ, মাওনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও মাওনা ঈদগাহ মাঠ রয়েছে। আমাদের একার কিছু করার নেই মেলা কমিটি প্রশাসনিক ভাবে লিখিত অনুমতি এনেছেন। এখানে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখলে ভাল হয়।
শ্রীপুর উপজেলার নির্বহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামসুল আরেফিন বলেন। বিষয়টি আমি শুনেছি, জেলা থেকে মেলা আয়োজক কমিটি একটি অনুমোদন এনেছেন তবে আমরা এখনো কনফার্ম না। আমি জেলায় যোগাযোগ করে বিষয়টি জানবো আসলে তারা অনুমতি পেয়েছেন কিনা। অনুমতি না থাকলে কোনো মতেই এই মেলা করতে পারবে না।
এ বিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ লিয়াকত আলী
জাতীয় দৈনিক মাতৃজগতকে, জানান।আমার জানা মতে স্কুল কর্তৃপক্ষর সাথে কথা বলে লিখিত অনুমোদন এবং কন্ডিশনের মাধ্যমে মেলা আয়োজক কমিটি মেলার আয়োজন করছেন, তবে মেলায় হামলার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেননি যদি কেউ অভিযোগ করেন তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply