গতকাল ২০/০৫/২০২১ইং আনুমানিক বিকাল তিনটার দিকে ভুক্তভোগী নারী শিরিন আকতার পাপড়ি তার নবনির্মিত ঘরের টিন দিন দুপুরে দুষ্কৃতকারীদের ধারা খুলে ঘরের জিনিস পত্র দিনের বেলায় চাচা পিন্টুর আপন ভাগিনা (১৩)নিজে ঘরের টিন খুলে নিয়ে যাওয়ার সময় পাশের ঘরের মানুষজন দেখে বিষয়টা সম্পর্কে মোবাইলে পাপড়ির পরিবারকে বলেন ঠিক কিছুক্ষণ পর হামলাকারীদের এই ভয়ংকর আচরণের নতুন ঘরের টিন ডাকাতি কায়দায় খুলে ঘরের জিনিস পত্র পিন্টুর আপন ভাগিনা নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি দুঃখ প্রকাশ করে পাপড়ির মেঝো চাচা টিটি মোবাইলে কল দিয়ে জানান এবং তাড়াতাড়ি আইনি সহযোগিতা নিয়ে সন্তোষপুর মাইটভাংগা থেকে দ্রুত ঘটনাস্থলে যেতে বলেন ঠিক কিছুক্ষণ পর কামাল উদ্দীন সাবেক মেম্বার পাপড়ির চাচার ছোট ছেলে শাকিল উক্ত বিষয়টি জানান, পরবর্তী পাপড়ির বাবা সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল মান্নান সহ থানায় গিয়ে তাদের নতুন ঘরের টিন দিনদুপুরে তাদের অনুপস্থিতিতে খুলে ঘরের জিনিস পত্র নিয়ে যাওয়ার বিষয়টা সম্পর্কে অবগত করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে। তিনি সাথে সাথে পাপড়ির বাবা এবং পাপড়িকে একজন এসআই হাবিব এবং তার সাথে টিমসহ পাপড়িরদের বাড়িতে নতুন ঘরে গিয়ে আশেপাশের বাড়ির লোকজনকে পুলিশ অফিসার ডেকে বিস্তারিত সত্যতা নিশ্চিত হয়ে হামলার নির্দেশদাতা চাচা পিন্টুর বউ চম্পা এবং বোন খেলনা ও বিয়াধনের হঠাৎ উপস্থিত হওয়ায় তাদের সাথেও বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বশীল পুলিশ অফিসার হাবিব আলাপচারিতা করেন।তদন্ত শেষে পুলিশ টিম ঘটনাস্থল ত্যাগ করার দশ মিনিটের মধ্যে ভয়ংকর হামলার নির্দেশদাতা ভুক্তভোগী পাপড়ির আপন ছোট চাচা পিন্টুর বউ চম্পা (৩৫) লাঠিসোঁটা সহ তার সঙ্গে হামলায় অংশ নেওয়া পিন্টু ছেলে পান্ত (১৫) পিন্টুর বোন খেলনা(৩৭)পিন্টুর বোন বিয়াধন (৪২) পিন্টুর ভাগিনা লাল্টু (১৪)সে সকালে টিন খুলে ভিতর থেকে জিনিস পত্র নিয়ে বের হতে পাশের বাড়ির সলিমুল্লাহদের ঘর থেকে বিষয়টি দেখে পেলে যেই কারণে পুলিশ ঘটনাস্থলে কেন আসলো এই কথা বলে ভুক্তভোগী নারী শিরিন আকতার পাপড়িকে তার মা সখিনা বেগম এবং বাবা আব্দুল মান্নান ও কামাল উদ্দীন সাবেক মেম্বারের বউ সুফিয়া এবং ছেলে শাকিল ও শাহিন থেকে শুরু করে আশেপাশের ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেকের সামনে পাপড়িকে চুলের মুঠি ধরে পিন্টুর বউ চম্পা এবং তার সাথে সহযোগীরা লাঠি সোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে পাপড়িকে তার ডান হাত ভেঙে পেলে গলায় থাকা সোনার চেইন হাত ব্যাগ কেড়ে নিয়ে পাপড়ির গলায় পা দিয়ে চম্পা চেপে রাখে খেলনা ও বিয়াধন হাত পা চেপে ধরে পাপড়ি তখন মৃত্যুর কাছাকাছি ঠিক ঐ মহূর্তে পাপড়ির মা এবং কণ্যা সন্তানের আহাজারিতে এলাকার বাসিন্দারা ছুটে আসলে পিন্টুর বউ হামলাকারিদের নিয়ে পাপড়ির পরিবারকে চিরতরে হত্যা করে শেষ করবে জনসমক্ষে বলতে বলতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে এলাকার জনগণের সহযোগিতায় ভুক্তভোগী নারী শিরিন আকতার পাপড়িকে কমপ্লেক্স চিকিৎসার উদ্দেশ্য সিএনজি দিয়ে দ্রুত নিয়ে গেলে চিকিৎসক উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃফজলুল করিম গুরুতর আহত পাপড়িকে চিকিৎসা দিয়ে পাপড়ীর গুরতর আঘাতের বিবরণ উল্লেখ করে পাপড়ি সুস্থ হলে যাতে দেশের আইনানুযায়ী হামলার নির্দেশদাতা এবং হামলার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পারে সেজন্য ডাক্তারি সার্টিফিকেট প্রদান করে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরবর্তী দিকনির্দেশনা দেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পাপড়ির পরিবারের সদস্যরা পাপড়িকে নিয়ে থানায় গিয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। বর্তমানে ভুক্তভোগী পাপড়ির শারীরিক নির্যাতনের কারনে ভাঙা হাতসহ গুরতর অসুস্থ অবস্থায় প্রাইভেট হাসপাতালে অনিরাপদ পরিস্থিতি অনুভব করে চিকিৎসা নিচ্ছে। এবিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং গতকাল ঘটনাস্থলে তদন্তে সত্যতা নিশ্চিত হয়ে আসা এসআই হাবিবের মোবাইলে একাধিক মোবাইল কল করা হলে ও তাঁরা মোবাইল রিসিভ করেননি। ভুক্তভোগী পাপড়ি দেশের সরকার ও দেশের সকল গণমাধ্যমের নিকট সহযোগিতা চেয়েছেন তার উপর ভয়ংকর রকমের নিকৃষ্ট এমন বর্বর হামলাকারীরাদের।
Leave a Reply