বগুড়ার গুরুত্বপূর্ণ থানা হিসেবে পরিচিত বগুড়ার সদরর থানা। সেই গুরুত্বপূর্ণ থানায় প্রায় আড়াই বছর ওসি হিসেবে কর্মরত থাকার পর গত ২৯ জুন ২০২০ ইং তারিখ ওসি এস,এম, বদিউজ্জামান যোগদান করেন শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে।
ওসি বদিউজ্জামান যোগদানের ৪ মাসের মধ্যেই পাল্টে যায় শিবগঞ্জ থানার চিত্র। আলোচনা এবং সমালোচনার মধ্যদিয়ে তিনি শিবগঞ্জ থানার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বেশকিছু উল্লেখযোগ্য অভিযান পরিচালনা করে যেমন আলোচনায় আসেন,
তেমনি কিছু সমালোচনার মধ্যে পরেন।
কিন্তু সমালোচনার কোন তোয়াক্কা না করে মাদক-সন্ত্রাস ও ভূমি দস্যু বাল্যবিবাহমুক্ত শান্তির জনপদ হিসেবে শিবগঞ্জ থানাকে গড়তে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন ওসি বদিউজ্জামান।
শিবগঞ্জ উপজেলায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাদক-সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রনে ওসি বদিউজ্জামানের ভূমিকা সর্বস্তরে প্রশংসনীয়।
ওসি বদিউজ্জামানের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে অপরাধীরা। এছাড়াও তিনি সফলতার সাথে বিভিন্ন অস্ত্র-মাদকের অভিযান পরিচালনা করায়, সাহসিকতার সাথে অপরাধীদের গ্রেফতার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সক্ষমতার পরিচয় দেওয়ার কারণে বারবার একাধিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এবং সাথে পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ ওসির সম্মাননা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, করোনাকালীন সময়ে বগুড়া সদর ও শিবগঞ্জ কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি এবং বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাতও। করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে জনসচেতনামূলক লিফলেট, মাস্ক বিতরণ থেকে শুরু করে, অসহায়দের মাঝে ত্রানসামগ্রী বিতরণেও বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন ওসি বদিউজ্জামান । তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাল্যবিবাহ, মাদক-সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্যখ্যাত বগুড়া সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় এখন আগের তুলনায় (মাদক-সন্ত্রাস) নির্মূলের দ্বারপ্রান্তে। শুধু তাই নয়, তিনি যোগদানের পর থেকে থানা এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকান্ডও দিন দিন কমে আসতে শুরু করেছে।
তিনি ওসি হিসেবে যোগদানের পর শিবগঞ্জ থানা এখন প্রায় দালালমুক্ত। তিনি সর্বদাই বলেন, অপরাধী যেই হোকনা কেন, তার কোন ছাড় নেই। অপরাধীরা যেন, অপরাধ করে পার না পায় সে বিষয়েও তিনি কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যুদের কাছে এস,এম বদিউজ্জামান এখন এক আতংকের নাম।
প্রতিবেদক এর একান্ত সাক্ষাৎকারে ওসি বদিউজ্জামান বলেন, পুলিশ সর্বদাই জনগনের বন্ধু এবং জনগনের জানমাল রক্ষার প্রহরী।
পুলিশ-জনতা যদি এক সাথে মিলে কাজ করি এবং জনগন যদি পুলিশকে সার্বিক সহযোগিতা করে তাহলে দেশ থেকে অপরাধ কমে যাবে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। আমি মনে করি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে জনগনের সেবক হিসেবে কাজ করাই পুলিশের কাজ। কর্মজীবনে আমি নিজেকে মানব সেবক হিসেবে পরিচিত করতে চাই এবং মানুষের সেবার কল্যাণে নিজেকে কাজে লাগাতে চাই। তাই আমি যেখানে যাই আমার কর্মদক্ষতার মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে চ্যালেঞ্জ নিয়ে সর্বদা কাজ করি। আমি সর্বদাই মনে করি, থানা হোক সাধারণ মানুষের সেবার আশ্রয়স্থল।
সেজন্য আমি আমার অধিনস্থ অফিসারদের সর্বদা নির্দেশ দিয়ে থাকি তারা যেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সেবায় কাজ করে।
আমি শিবগঞ্জ থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদানের পর ৪ মাসের মধ্যে আমার সাধ্যমত যতটুকু পেরেছি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে চ্যালেঞ্জের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আমি যদি দীর্ঘসময় পাই শিবগঞ্জ থানাকে শান্তির জনপদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
Leave a Reply