সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে মোবাইল নাম্বার ব্লাকলিষ্টে দেওয়ায় বিয়ের দাবিতে মিলন ফকির (২৫) নামে যুবকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন কলেজছাত্রী(২৪)। শুক্রবার (১৪ মে) রাত আনুমানিক ৮ঘটিকার দিকে মিলনের বাড়িতে হাজির হন তিনি। মিলন ফকির(২৫) উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের বাতিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের ছালাম ফকিরের ছেলে এবং ওই ছাত্রী একই ইউনিয়নের বাচামারা পূর্বপাড়া গ্রামের আবু হানিফ খানের মেয়ে। অবস্থানরত ছাত্রী সাথে কথা বলে জানা যায়, ৫/৬ বছর ধরে মিলন সাথে তার মোবাইলে কথা হয়। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জব্বাবেও অবস্থানরত ছাত্রী কোন উত্তর দেয়নি। তার সাথে কোথাও ঘুরতে বা দেখা করতে গিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জব্বাবেও তিনি প্রতিবেদকে না উত্তর দেন। বিয়ের দাবীতে উঠেছেন কি না এমন প্রশ্নের জব্বাবেও তিনি কোন উত্তর দেননি। এক পর্যায়ে অবস্থানরত ছাত্রী জানান, তার সঙ্গে মিলন সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন এবং তার ফোন ব্লাকলিষ্টে দিয়েছে বলে বাধ্য হয়ে তিনি ঈদের দিন শুক্রবার(১৪মে) মিলনের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ বিষয়ে মিলন ফকিরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সে আমার মোবাইল নং জোগাড় করে আমাকে ফোন দিতো আমিও বন্ধুর মত কথা বলতাম। কিন্তু তার সাথে কখনো আমার বিয়ে বা প্রেমের বিষয়ে কোন কথা হয়নি। যখন সে আমাকে বারেবারে বিরক্ত করা শুরু করলো তখন তার নাম্বার আমি ব্লাকলিষ্টে দিয়ে দেই। তখন সে বিভিন্ন মোবাইল নং থেকে আমাকে হুমকি দেওয়া শুরু করে যে আমার নাম্বার ব্লাকলিষ্টে দেওয়ার ফল ভালো হবে না। পরিশেষে জানান তার সাথে আমার কোন প্রেমের সম্পর্ক নেই। এ বিষয়ে নরিনা ইউপি সদস্য(৬নং ওয়ার্ড) বাবলু জানান, সরাসরি মেয়ে এবং ছেলের সাথে কথা বলা সম্ভব হয় নি। তাদের স্বজনদের মাধ্যমে যখন জানতে পারি ছেলের বাবার সম্মতি আছে তখন গ্রাম্য শালিসে বিয়ের সিধান্তে উপনিত হই। কিন্তু ছেলেকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, ছেলেকে পাওয়া গেলে বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। আপনি দুজনের একজনের সাথে কথা না বলে কিভাবে সিধান্ত নিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জব্বাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারে নি। অনুসন্ধানে জানা যায়, মেয়েটি ইউপি সদস্য(৬নং ওয়ার্ড) বাবলুর ভাগ্নী হয় তাই তিনি সেই ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠেপরে লেগেছেন। আরও জানা যায়, মেয়েটি মিলন এর বাড়ীতে উঠার পরে মিলনের পরিবারের সদস্যরা মেয়েটিকে বুঝিয়ে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। পরে কে বা কাহারা মেয়েটিকে মিলনের বাড়ীর বেড়া ভেঙ্গে আবারও মিলনের বাড়ীতে রেখে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেয়েটি মিলনের বাড়ীতে অবস্থান করছে। এ বিষযে নরিনা ইউনিয়ের চেয়ারম্যান ফজলুল হক মন্ত্রী বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না বা আমাকে কেউ কিছু জানাই নি। শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শাহিদ মাহমুদ খান জানান, এ ব্যাপারে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply