বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শামসুন্নাহার শিউলির বিরুদ্ধে আবারো দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ভুক্ত গ্রাম অঞ্চলের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান, শ্মশান ঘাট, রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট স্থাপন,মেরামত ও সংস্কারের জন্য সরকারি ও বিভিন্ন সংস্থার বরাদ্দ অর্থের সিংহ ভাগ বন্টন হচ্ছে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ও মন্দির এর নামে বরাদ্দকৃত টিআর ও কাবিখার চাল বা গম উত্তোলনের জন্য গোপনে তিন থেকে চার হাজার টাকা দিতে হয় অভিযুক্ত এই পিআইওকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি চেয়ারম্যান জানান, প্রধানমন্ত্রীর দুর্যোগ সহনশীল ঘর নির্মাণের জন্য ১০থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত টাকা দিতে হয় পিআইও অফিসে। গত শনিবার (২০ এপ্রিল) জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার নিকট তার (প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা) বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন শাজাহানপুরের উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হেফাজত আরা মিরা। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগপত্রে সুপারিশ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোঃ রেজাউল করিম বাবলু, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু এবং ভাইস চেয়ারম্যান ভি পি এম সুলতান আহম্মেদ। অভিযোগ পত্রের অনুলিপি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন সহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। শাজাহানপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ আজহার আলী জানিয়েছেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসক কে জানানো হয়েছে। প্রশাসনের সর্বোচ্চ মনোযোগ এখন করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায়। তাই শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে সমন্বয়ের দায়িত্ব দিয়ে আপাতত দাপ্তরিক কাজ চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে। পরবর্তীতে অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে শাজাহানপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামসুন্নাহার শিউলির মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, এর আগের কর্মস্থলে বগুড়ার শেরপুরে নতুন রাস্তা নির্মাণ কাজে মাটির বদলে ছাই ব্যবহারে বিতর্কিত হয়েছিলেন এই কর্মকর্তা।
Leave a Reply