ফুটবল, হকি, কাবাডি, দাবা, ভলিবল, হ্যান্ডবলসহ অনেক ডিসিপ্লিনেই দাপুটে উপস্থিতি বাংলাদেশ পুলিশের। এবার এই সার্ভিসেস দলে দেখা যাবে তীরন্দাজদেরকেও। শক্তিশালী দল গঠণ করে আরচারিতে অভিষেকের অপেক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ।
আরচারিতে বর্তমানে দাপট আনসার, সেনাবাহিনী ও তীরন্দাজ ক্লাবের। দেশের সেরা তীরন্দাজরা সব এই তিন ক্লাবেই খেলে থাকেন। রীতিমত চমকও দেখিয়েছে তারা। তাদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আরচারি দল গড়ছে পুলিশ। রিও অলিম্পিকে অংশ নেয়া শ্যামলী রায়সহ জাতীয় আরচারি দলের একাধিক খেলোয়াড়কে নিয়ে দল গড়ছে বাংলাদেশ পুলিশ।
কেবল শক্তিশালী দল গঠনই নয়, অভিজ্ঞ কোচও নিয়োগ দিয়েছে পুলিশ। যার হাত ধরে বাংলাদেশের আরচারি জায়গা করে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, সেই ভারতীয় কোচ নিশিথ দাসকে নিয়োগ দিয়েছে সেবা সংস্থাটি।
২০১৮ জাকার্তা এশিয়ান গেমসের সময় ইন্দোনেশিয়ায় আরচারি কোচ জিয়াউল হকের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় কাবাডি দলের ম্যানেজার, পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ডেভেলপমেন্ট) গাজী মো. মোজাম্মেল হক। জাকার্তাতেই পুলিশে আরচারি চর্চা শুরুর পরিকল্পনা সাজানো হয়।
আরচারির নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেন গাজী মো. মোজাম্মেল হক। এরপরই ঘর গোছাতে নামে পুলিশ। আরচারি দলের সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয় পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর অতিরিক্ত আইজিপি শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসানকে, সদস্য সচিব করা হয় গাজী মো. মোজাম্মেল হককে।
তারা দায়িত্ব নিয়েই দেশসেরা তীরন্দাজদের দলভূক্ত করার উদ্যোগ নেন। অলিম্পিয়ান, জাতীয় দলের সিনিয়র-জুনিয়র মিলিয়ে ১৩ জন আরচার নিয়েছে পুলিশ। তারা হলেন- কম্পাউন্ডে অলিম্পিয়ান শ্যামলী রায়, জাতীয় কম্পাউন্ড দলের অধিনায়ক আবুল কাশেম মামুন, শিউলি আক্তার, হুমায়রা।
রিকার্ভে একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদকজয়ী তামিমুল ইসলাম ও হাকিম আহমেদ রুবেল, উদীয়মান রাদিয়া আক্তার শাপলা, সুরাইয়া খাতুন, মামুন মোল্লা, আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, সম্রাট, আজিজুল হক, আবু হুরায়রা বিশ্বাস।
নবীণ তীরন্দাজ আছেন আরও সাতজন। গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে নড়াইল স্টেডিয়ামে অনুশীলনও শুরু করে দিয়েছেন নিশিথ দাস। প্রতিদিন দুইবেলা অনুশীলন করেন তীরন্দাজরা।
২০১৬ ইসলামিক সলিডারিটি আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণজয়ী ‘আরচারির মাশরাফি খ্যাত’ আবুল কাশেম মামুন জানান, ‘আরচারিতে পুলিশ নতুন এসেছে, তারা ভালো করতে চায়, আমরাও চ্যালেঞ্জ নিতে চাই। তাই আমরা যারা চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি তারা পুলিশের আরচারি দলে যোগ দিয়েছি। আমাদের প্রথম লক্ষ্য নিজেদের গুছিয়ে নেয়া, এরপর অন্যদের চ্যালেঞ্জ জানাবো। আমাদের যে কোচ রয়েছেন, তার অধীনে আমরা দীর্ঘদিন ধরে খেলেছি, ফলে ধীরে ধীরে গুছিয়ে নিয়ে ভালো করতে সমস্যা হবে না।’
পুলিশ আরচারি দলের সদস্য সচিব গাজী মো. মোজাম্মেল হক জানান, ‘পুলিশ এখন ক্রীড়াঙ্গনে ভালো করার চেষ্টা করছে। শুধু আরচারি নয়, যে খেলাই খেলি না কেন, ভালো দল গড়ার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন ইভেন্টে সিনিয়র-জুনিয়র মিলিয়ে খেলোয়াড় নিয়ে দল গড়া হচ্ছে। মাঠের নৈপূণ্য দিয়ে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছি।’
শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির নিশ্চয়তাও দেয়া আছে তীরন্দাজদের। এখন প্রতি মাসে ভাতা পাচ্ছেন নূন্যতম ১০ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ৩০ হাজার টাকা পাচ্ছেন আবুল কাশেম মামুন, ২৫ হাজার টাকা হাকিম আহমেদ রুবেল ও তামিমুল ইসলাম। অলিম্পিয়ান শ্যামলী রায় পান ২০ হাজার টাকা। ক্রীড়াঙ্গনে পুলিশের সবচেয়ে শক্ত অবস্থান কাবাডিতে, প্রিমিয়ার লিগে নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে চ্যালেঞ্জ জানায় তারা। বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রভাবে গেল বছর বাতিল হওয়া প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে অভিষেক হয়েছিল দলটির
Leave a Reply