লেখক:-কাজী আদম
চারদিক সুনসান বাহিরে কিছু কুকুর বিলাপ করছে,
পাশের বাসার ছোট্ট খুকীর ক্যান্সারও মনে হয় শেষ স্টেজে।
নিঝুম মধ্যরাত ঘুম হঠাৎ ভেঙ্গে গেলো শকুনির আওয়াজে।
এক দৌড়ে ছাঁদে গেলাম কারণ অনেক বছর ধরে শকুন দেখি না।
এবারেও ব্যর্থ কার্নিশ ছেড়ে চলে আসব হঠাৎ একটি মধ্যবয়স্কা শকুনি উড়ে এলো,
আমি খুশিতে হাততালি দিলাম।
শকুনি আমার দিকে ঢেবঢেব চোখে তাকিয়ে বলে চুপ কর বেয়াদব,
আমি রেগে গেলাম।
শকুনি হাসতে হাসতে বলে রেগে যাচ্ছিস কেন বেটা?
নিশ্চুপ হয়ে তাকিয়ে রইলাম।
আমার দিকে একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল,
উত্তরে বললাম অনেক দিন পর শকুন দেখেছি তাই অনেক খুশি।
কর্কশ গলায় বললো এখন কি দেশে আগের মতো শকুন আছে?
কেন নেই?
কারণ শকুনের দায়িত্ব যে তোরা মানুষ কাঁধে তুলেছিস।
অবাক হয়ে বললাম যুক্তি দাও।
শকুনের কাজ মরা জীবজন্তু খাওয়া আর তোরা তো নিত্যদিন জ্যান্ত মানুষ খুন করিস।
তোরা শকুনের চেয়েও অধম।
মানুষ নামক শকুনের ভিড়ে কি আমাদের দেখা যায়?
আমি গর্ব করে বললাম মানুষ অনেক ভালো।
সে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলে তাই?
হুম।
তাহলে সাত বছরের মেয়েটার মুখ থুবড়ানো লাশটি কেন বাঁশ বাগানে ছিল যার যৌনাঙ্গটাও ক্ষতবিক্ষত ছিল।
রাজনীতির নামে নিরীহ মেধাবি ছেলেটা কেন রাতভর অত্যাচারে মারা গেলো?
দেশে এতো এতো দানশীল ব্যক্তি থাকতে গরিব কেন মারা যাচ্ছে চিকিৎসার অভাবে?
কত তরণী ধর্ষণ হচ্ছে,
কত মানুষের স্বপ্ন ধ্বংস হচ্ছে সমাজের অব্যবস্থাপনায়।
তাই বলে কি সবাই খারাপ?
সবাই না তবে সবাই ঐ পথেই এগোচ্ছিস।
আমি হেসে বলি শকুনের নজর সবসময় ছোট-ই থাকে।
সে বিকট শব্দে আকাশে উড়ে গেলো।
ছাঁদ থেকে নিচে তাকিয়ে দেখি আরেকটি পিতার হাতে খুন হওয়া ছোট্ট লাশ আমায় হাতছানি দিচ্ছে।
Leave a Reply