শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৭ অপরাহ্ন

রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সাতক্ষীরাবাসীর স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নির্মিত হচ্ছে ৯৯ কিলোমিটার রেলপথ।

আজহারুল ইসলাম সাদী:
  • আপডেট টাইম বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২০

রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জেলা সাতক্ষীরা জেলার ২২ লক্ষ অধিবাসীর স্বপ্নের রেলপথ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীও খুলনা বিভাগের, সাতক্ষীরা জেলা থেকে, দেশের অনান্য স্থানগুলিতে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। এ জেলার মধ্যে অবস্থিত বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন। সাদা সোনা নামে খ্যাত বাগদা চিংড়ি সম্পদ। ভোমরা স্থলবন্দরের মাধ্যমে বাণিজ্যে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই সাতক্ষীরা জেলা। তবে এ জেলার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে একমাত্র সড়কপথ নির্ভরশীল। বর্তমান সরকার সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নের কথা চিন্তা করে যশোর জেলার নাভারণ থেকে সাতক্ষীরার মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৬২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩৩২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। কন্সট্রাকশন অব নিউ বিজি ট্র্যাক ফর্ম নাভারণ টু সাতক্ষীরা প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৩২৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা চীনের কাছে থেকে ঋণ চাওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির মেয়াদকাল ধরা হয়েছে চলতি সময় থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। নাভারণ থেকে মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ধরা হয়েছে, ৯৮ দশমিক ৪২ কিলোমিটার। ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দবিহীন নতুন প্রকল্প তালিকায় এটা রাখা হচ্ছে। রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে ট্রেনে চড়ে যাওয়া যাবে মুন্সীগঞ্জ পয়েন্টে। সেখান থেকে নদী পার হলেই সুন্দরবন। সুন্দরবনের উদ্ভিদ ও প্রাণি বৈচিত্রের কথা ভেবেই সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার দূরত্বের আগেই ট্রেন স্টেশন শেষ হবে। নাভারণ থেকে মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত থাকবে ৮টি স্টেশন। এগুলো হলো, নাভারণ, বাঁগআচড়া, কলারোয়া, সাতক্ষীরা, পারুলিয়া, কালীগঞ্জ, শ্যামনগর ও মুন্সীগঞ্জ। একই সাথে রেলপথের সেতু নির্মিত হবে বাঁকাল, লাবণ্যবতী, সাপমারা খাল ও কাকশিয়ালী নদীর ওপর। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান আ ন ম আজিজুল হক বলেন, সুন্দরবনের সাথে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য এই প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ প্রাথমিক অবস্থায় আছে। নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা হয়ে মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা গেলে অর্থনৈতিকভাবে এলাকাগুলো শক্তিশালী হবে। তিনি আরো বলেন, নতুন রেলপথ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। রেলপথটি নির্মাণে চীনসহ কয়েকটি উন্নয়ন সহযোগী দেশ খোঁজা হচ্ছে। শর্ত সাপেক্ষে যার সাথে মিলবে তাকেই এই প্রকল্পের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে নেয়া হবে। রেলপথ চালু হলে সাতক্ষীরাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © Matrijagat TV
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
matv2425802581