সংসারের বড় ছেলে বলে কথা। পরিবারের সমস্যা হলে দায়িত্ব কাধে চলে আসে। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের কারণে নাকাল সমগ্র দেশ। চলছে লকডাউন। বন্ধ মাদরাসা। সংসারের খরচ বেশি। বাবার একার পক্ষে সেই খরচ যোগানো কষ্টকর তাই সংসারের খরচ যোগাতে কিশোর বয়সেই ইজিবাইক নিয়ে রাস্তায় নেমেছে মিজান জামাতের মাদরাসার ছাত্র মোঃ এমদাদুল হক ( ১৩)। উপজেলার হাসিল মহুরিপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ৫ সন্তানের সংসারে বড় ছেলেটাই এই এমদাদুল। করোনায় স্থায়ী কোন কাজ না থাকায় ছেলে ইজিবাইক আর বাবা অন্য কাজ নিয়ে ব্যস্ত। দুই ভাই তিন বোনের মধ্য এমাদাদুল সবার বড়। অভাবী সংসার। জেলার পাচঠাকুরি কওমি মাদরাসায় মিজান বিভাগে পড়ে সে। এখন মাদরাসা বন্ধ,কোন কাজ নেই তাই গাড়িটি নিয়ে কাজে বের হয়েছি বলেন এমদাদুল। সারাদিন ৪ শ থেকে ৫ শ টাকা উপার্জন হয়। এতে পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফুটছে। কিছু সঞ্চয়ও হচ্ছে বলে জানান এমদাদুল। এই সময়ে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনে গেম খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও ব্যতিক্রম এমদাদুল। সকাল থেকে রায়গঞ্জ পৌর বাসস্ট্যান্ডে এসে গাড়ীর সিরিয়াল দেয় সে। এভাবে উপজেলার আঞ্চলিক সড়কগুলোতে প্যাসেঞ্জার উঠা নামা করতে হয়। দিন শেষে যা আয় আসে তাতেই খুশি সে। টাকা কামাইয়ের নেশা তোমাকে মাদরাসার পড়া থেকে আলাদা করছে না তো (?) এমন প্রশ্নের জবাবে এমদাদুল বলেন, না। মাদরাসা খুলে দিলে আমি আবারও পড়তে যাব। ০১৭১৩২৭০৯১৩ ০৮.০৭.২১ ইং
Leave a Reply