নাটোর গুরুদাসপুরের মোঃ নাসিরুজ্জামান ইমন (২১) গত ০৪ মার্চ ২০২১ খ্রিঃ সন্ধ্যায় বাজার করার জন্য তার বন্ধুদের সাথে তালাইমারী যাচ্ছিলেন। তারা ছাত্র এবং মেসে থেকে লেখাপড়া করে। সন্ধ্যা ০৭.৩০ টায় সময় তালাইমারী শহীদ মিনারের কাছে পৌছালে অজ্ঞাতনামা দুইজন পুলিশ ও পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে তাদেরকে তল্লাশি করার কথা বলে। তাদের তল্লাশি করার জন্য তাদের নিজ নিজ ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও মানি ব্যাগ গুলো নিয়ে নেয় ও বলে সামনে গাড়ী আছে সেখানে চলো। তারা আসামীদের কথা মতো তালাইমারী শহীদ মিনারের সামনে ফাঁকা মাঠের মধ্যে গেলে আসামীরা ৩০,০০০(ত্রিশ হাজার) টাকা দাবী করে। টাকা না দিলে থানায় নিয়ে গিয়ে মাদক মামলা দিয়ে চালান করে দিবো বলে হুমকি প্রদান করে।মোঃ নাসিরুজ্জামান ইমন (২১) ও তার বন্ধুরা তখন আসামীদেরকে জানায় তাদের নিকট এতো টাকা নেই। এরপর আসামীরা মোঃ নাসিরুজ্জামান ইমন (২১) ও তার অপর দুই বন্ধু গোদাগাড়ীর মোঃ আবু রায়হান (২৪) ও পুঠিয়ার মোঃ সাব্বির হোসেন (২১)দ্বয়ের নিকট হতে ভয়ভীতি দেখিয়ে (২৩০০+৯০০+৭০০)= ৩,৯০০(তিন হাজার নয়শত) টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া আসামীরা রায়হান এর জাতীয় পরিচয়পত্র, বরেন্দ্র বিশ^বিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র, ডেভিড কার্ড নিয়ে নেয়। আসামীদের কথাবার্তা ও আচরণ দেখে সন্দেহ হয় যে, তারা পুলিশের কোন সদস্য নয়। এরপর তারা চিৎকার করলে আসামীরা দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়। মোঃ নাসিরুজ্জামান ইমন (২১) জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ কল দিলে টহল পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়ভাবে আসামীদ্বয়ের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। উক্তরুপ অভিযোগের প্রেক্ষিতে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়। পরবর্তীতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সম্মানিত পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক মহোদয়ের তাৎক্ষণিক দিক নির্দেশনায় বোয়ালিয়া মডেল থানার এসআই/মাসুদ রানা সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত ০১ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত হলো রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার তালাইমারী শহীদ মিনার গ্রামের জামিল ড্রাইভারের ছেলে আসামী মোঃ শামীম (৩০)। আসামী শামীমের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় পূর্বেও মামলা রুজু ছিলো। অপর আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বাবু স্টাফ রিপোর্টার দৈনিক বাংলাদেশ ক্রাইম সংবাদ
Leave a Reply