বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১৫ অপরাহ্ন

রাজশাহী পুলিশ সদস্য মতিহার এলাকায় স্বামী-স্ত্রীকে প্রেমিক প্রমিকা আখ্যা দিয়ে নির্যাতন ও চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

১৩ এপ্রিল ২০২১ ইং মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বাবু স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহীঃ
  • আপডেট টাইম মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২১

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী যেখানে জনগনের নিরপত্ত দিতে ব্যস্ত কভির-১৯ করনা কালিন সময় আবার এক পুলিশ সদস্য ও তার স্ত্রীকে এই নির্যাতন করা হয়। শুধু তাই নয় এ সময় তাদের জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৩ টি পৃথক নাম্বারে টাকাও নেয়া হয়। অবশ্য রাজশাহী মতিহার এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐ পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে মতিহার থানায় একটি মামলা দায়েরও করেছেন। যাহার মামলা নং- ৮, তাং- ১১/০৪/২০২১ ইং। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীর মোহনপুর থেকে খায়রুল নামের একজন পুলিশ সদস্য তার স্ত্রী তানজিলা বেগমকে নিয়ে রাজশাহীতে চিকিৎসা করতে আসেন। এসময় ডাক্তার তাদের বেশ কিছু প্যাথলজিক্যাল টেস্ট করার জন্য বলেন এবং তারা প্যাথলজিক্যাল টেস্টও করান। এদিকে প্যাথলজিক্যাল টেস্ট রিপোর্ট পেতে ৪ ঘন্টা সময় লাগবে বিধায় তারা বিশ্রাম নেবার জন্য রাজশাহী মতিহার থানায় কর্মরত খায়রুলের ব্যাচমেট ওবাদুরের মতিহার থানাধীন এলাকায় বাসায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এসময় খায়রুলের ব্যাচমেট ওবাইদুর থানায় ডিউটিরত ছিলেন তাই আরেক সহকর্মী পুলিশ সদস্য আসাদুজ্জামান কে খায়রুল দম্পতিকে তার বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা বললে আসাদুজ্জামান তাদের ওবাইদুরের বাসায় নিয়ে যান। আর এ সময় এলাকার বখাটে ও চিহ্নিত চাঁদাবাজ ১। রনি, পিতা- রবিউল ২। ফিরোজ হোসেন, পিতা – মৃত আজিদ, ৩।সোহান, পিতা- শামীম, ৪। শাকিল, পিতা-অজ্ঞাত, ৫। রিদয়, পিতা – অজ্ঞাত, ৬।সুইট,৭।সেলিম ২৮পিতা- লিয়াকত আলী ডাইভার সাংডাশমারি ধরমপুর মতিহার জোরপূর্বক ওবায়দুরের বাড়িতে ঢুকে প্রেমিক- প্রেমিকা আখ্যা দিয়ে তাদের জিম্মি করে মারপিট করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা পুলিশ সদস্য খায়রুল ও আসাদুজ্জামানকেও লাঞ্চিত করে ৫০,০০০ টাকা টাকা চাঁদা দাবি করে। উক্ত সময় পুলিশ সদস্য খায়রুল প্রান ভয়ে ঐ ৩টি বিকাশ নাম্বারের মাধ্যমে ১৪,০০০/ টাকা পরিশোধ করে। এসময় খায়রুলের স্ত্রীর ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা ১ হাজার টাকাও দুর্বৃত্তরা নিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে উক্ত বিষয়টি জানাজানি হলে মতিহার থানা পুলিশ আসার আগেই দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে দ্রুত পালিয়া যায়। এলাকাবাসী ও স্থানীয়দের ভাষ্যনুযায়ী, রাজশাহী মতিহার থানার পুলিশ সদস্য ওবায়দুর রহমান দীর্ঘদিন যাবৎ ধরমপুর এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করেন। পারিবারিক সম্পর্কের সুবাধে তারই ব্যাচমেট পুলিশ সদস্য খায়রুল ও খায়রুলের স্ত্রী তানজিলা আসলে এলাকার কিছু বখাটে যুবক ঐ বাড়িতেই জোরপূর্বক ঢুকে প্রমিক প্রেমিকা বলে আখ্যা তাদের অবরুদ্ধ রেখে টাকা আদায়ের চেস্টা করে। এসময় টাকা দিতে অস্বীকার করলে পুলিশ সদস্য খায়রুলকে মারপিটও করে বখাটে যুবকরা।পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। এদিকে শেষ রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত উক্ত ঘটনায় মামলা হওয়ার পর আসামীরা সকলেই গাঁ ঢাকা দিয়েছে। তবে অত্র ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের নাম ভাঙ্গিয়ে সচিব পরিচয়ে অন্তু নামের এক ব্যাক্তি এই ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঐ দম্পতি। এদিকে পুলিশ সদস্য খায়রুল মুঠো ফোনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এটি একটি অপরাধী চক্র। আমি এই সকল অপরাধীদের বিচার চাই। তবে উক্ত বিষয়ে রাজশাহী মতিহার থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন- এই ঘটনায় পুলিশ সদস্য খায়রুল ও তার স্ত্রী কাবিননামা দিয়েছেন থানায়। সেই সাথে আমরা বিকাশ নাম্বারের সুত্র ধরে এগিয়ে যাচ্ছি। প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © Matrijagat TV
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
matv2425802581