বগুড়া শেরপুর উপজেলার মাদক নির্মূলে যখন সবাই সোচ্চার, ঠিক তখনই মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধি হয়ে পড়েছে জুয়া, মাদকের কালো কাড়াল থাবায় অনেক পরিবার আজ ধ্বংসের পথে, আজ জুয়াও অনেক পরিবারকে নিঃস্ব করে দিচ্ছে। মাদক যেমন উঠতি বয়সী যুবকদের গ্রাস করে ফেলছে, ঠিক তেমনি জুয়া নামের এই ব্যাধিটি সমাজের উঠতি বয়সের যুবকদের আসক্ত করছে।
মাদক আর জুয়া দুটোই অর্থকে বিনষ্ট করে, কারণ টাকার বিনিময়ে যেকোনো খেলাটাকে জুয়া বলে আখ্যায়িত করা হয়। আমাদের দেশে অনেক জুয়া খেলার কথা শুনলেও প্রযুক্তির যুগে বর্তমানে যুবকদের কাছে ছড়িয়ে পড়েছে লুডু খেলার জুয়া। শহর গ্রামগঞ্জে, বিভিন্ন দোকান-পাটের সামনে লুডু খেলার জুয়ার আসর বসে জুয়া এবং লুডু খেলার তাসের জুয়া মামাতো-খালাতো ভাই। তাছাড়া যখন আইপিএল খেলার শুরু হয়, বাজি ধরে। যুবসমাজ সময় কাটানোর জন্য খেলছে লুডুর জুয়া। আর এই লুডু খেলতে লাগেনা কোন লুডু, লাগেনা লুডুর গুটি, প্রযুক্তি জুয়াটাকে এতটাই সহজ করে দিয়েছে যা বলা বাহুল্য।
শুধু একটা এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট হলেই দুজন কিংবা চারজন মিলেই লুডুর জুয়ার আসর বসে খুব জমজমাট ভাবে।এতে করে নিঃস্ব হচ্ছে অনেক পরিবার অনেক পরিজন, এ যেন এক জীবন ধ্বংসের খেলা। আর এ জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে সমাজে ঘটে নানান দূর্ঘটনা, এমনকি জীবন পর্যন্ত দিতে হয়েছে অনেককে। আবার অনেকে জুয়া খেলার নেশায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে দেশ-দেশান্তরে। গ্রামগঞ্জের চেয়ে এই লুডু খেলার জুয়ার প্রভাব পড়েছে শহরের বিভিন্ন অলি-গলিতে। আর তাই এই আইপিএল এবং লুডুর জুয়া বন্ধে প্রশাসন দৃষ্টিপাত না দিলে সামাজিক ব্যাধি হয়ে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়বে প্রতিটি ঘরে ঘরে।
Leave a Reply