যশোরের চৌগাছায় গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী কলেজছাত্রী জেসমিন খাতুন (১৭) অবশেষে মারা গেছে।
বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। উপজেলার পাশাপোল আমজামতলা মডেল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী জেসমিন ধুলিয়ানি ইউনিয়নের উজিরপুর গ্রামের হাসান আলীর মেয়ে। মঙ্গলবার বিকেলে নিজ বাড়িতে ওই ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
মেয়েটির বাবা হাসান আলী জানান, ছয় মাস আগে একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে তিন সন্তানের জনক আবুল কাশেমের সঙ্গে জেসমিন খাতুন পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। দুই মাস আগে মেয়েটি বাড়ি চলে এলে তার ইচ্ছায় গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে স্বামীর কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। কয়েকদিন আগে মেয়েটি আবারো কাশেমের কাছে চলে যেতে চায়। জেসমিনের বাবা হাসান আলী কাশেমের কাছে না যাওয়ার জন্য চাপ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জেসমিন মঙ্গলবার বিকেলে নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সেখানকার চিকিৎসকরা জেসমিনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দিবাগত রাতে তার মৃত্যু হয়। উজিরপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মো. মিঠু ওই ছাত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Leave a Reply