করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরুর পর ২৯শে মার্চ পর্যন্ত যশোর জেলায় মোট দুই হাজার ২৩৯ জনকে কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে।
যশোরে এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো ব্যক্তির সংখ্যা দুই হাজার ২৩৯জন। এদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা ব্যক্তির সংখ্যা ১০৬। হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আনা হয় তিন রোগীকে। এদের মধ্যে একজন এখনো হাসপাতালে রয়েছেন। সিভিল সার্জনের কার্যালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অভয়নগরে চার, বাঘারপাড়ায় তিন, চৌগাছায় ২৪, সদরে ২৭, ঝিকরগাছায় এক, কেশবপুরে ৩০, মণিরামপুরে ১৩ এবং শার্শা উপজেলায় চারজনকে নতুন করে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে।
এরা সবাই হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন মোট ১৫৫ জন। এদের মধ্যে অভয়নগর উপজেলায় সাত, চৌগাছায় ১৯, সদরে ৯৯, ঝিকরগাছায় ১৯ এবং শার্শায় ১১ জন রয়েছেন। এছাড়া এই সময়কালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়েছে একজনকে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুইজন।করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরুর পর যশোর জেলায় মোট দুই হাজার ২৩৯ জনকে কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই হাজার ২৩৬ জন বাড়িতে এবং তিনজনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুইজন।
যশোর জেলায় কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আসা ব্যক্তিদের মধ্যে শার্শার ৮৮, বাঘারপাড়ার ২৯, চৌগাছার ১২৪, সদরের এক হাজার ১৭৪, ঝিকরগাছার ১৯৯, কেশবপুরের ১৭০, মণিরামপুরের ২০৩ এবং শার্শার ২৪৯ জন বাসিন্দা। এখনো পর্যন্ত এই জেলায় কোভিড-১৯-এ (করোনাভাইরাস) আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, যশোর থেকে আইইডিসিআর-এ পাঠানো স্যাম্পলগুলোর মধ্যে এখনো একটিও পজিটিভ রেজাল্ট আসেনি। করোনা রোগী শনাক্ত না হলেও সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপকুমার রায় জানিয়েছেন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা একজনের রক্তের নমুনা আজ রোববার ঢাকা পাঠানো হচ্ছে।
Leave a Reply