করোনা ভাইরাসের কারণে ঘরে থাকার নির্দেশ অমান্য করে চায়ের দোকান খোলায় যশোরে এক ব্যক্তির বাম হাত গরম পানিতে ঝলসে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে। বাড়িতে থাকতে না পেরে তিনি ভর্তি হয়েছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালে। বর্তমানে হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে কাতরাচ্ছেন তিনি। এ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে তাকে চলে যেতে বলা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওই ব্যক্তির। যশোর শহর নতুন খয়েরতলা ভাষ্কর্য মোড় এলাকার চা দোকানি শফিকুল ইসলাম বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে তিনি চায়ের দোকানের শাটার অর্ধেকটা নামিয়ে নিয়ে ভেতরে ব্যবহৃত ওয়ানটাইম চায়ের কাপ ধ্বংস করার জন্য জড়ো করছিলেন। পাশে ইলেকট্রিক কেটলিতে গরম পানি ছিল,দুপুর ১২টার দিকে দুইজন পুলিশ শাটার উঠিয়ে দোকানে প্রবেশ করে। তাঁদের দুইজনেরই পরনে পোশাকের ওপর ডিবি লেখা কোটি ছিল, একজনের কোমরে পিস্তল এবং হাতে ওয়্যারলেস ছিল। অপরজনের হাতে হ্যান্ডকাফ ছিল,তাঁরা দোকানের ভেতরে ঢুকেই তাঁকে গালিগালাজ করতে থাকেন।
একপর্যায়ে হাতে ওয়্যারলেস থাকা পুলিশ কর্মকর্তা কেটলির গরম পানি তাঁর শরীরে ছুঁড়ে মারেন। গরম পানিতে তাঁর বাম হাতের বাহু এবং পিঠের বাম পাশ ঝলসে যায়। আমার ভাইদের মারপিট করে,এরপর হাতে হ্যান্ডকাপ পরায়,পরে দোকানে আটকে রাখে। এরপরে পাশের ঔষধ ফার্মেসি থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেই, পুলিশ বলে যায় ৪-৫ তারিখের আগে বাড়ি থেকে বের হবে না। ভয়ে আর বের হয়নি,হাতে পচন ধরলে স্থানীয়রা তাকে সোমবার সন্ধ্যায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে, এখন হাসপাতাল থেকেও তাকে চলে যেতে বলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর পুলিশের মুখপাত্র টিভি ক্যামেরার সামনে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেছেন, এর সাথে ডিবি পুলিশের কেউ জড়িত নয়। কোটি পরে অনেক বাহিনী কাজ করে। তবে কারা করেছে তা শনাক্তে কাজ চলছে বলে জানান তিনি। এদিকে, যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ বলেন, রোগীর অবস্থা এখন অনেক ভালো। এখানে থাকলে জীবানুর সংক্রমণ হতে পারে সেকারণে তাকে বাড়ি থেকে চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply