যশোরের চৌগাছায় হুদো হাজিপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে উদ্ধার করে চৌগাছা ৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন হুদো হাজিপুর গ্রামের শমসের আলী বিশ্বাসের ছেলে ইমান আলী (৪২), টিপু সুলতানের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন (২৮)। এ বিষয়ে চৌগাছা থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং ৩২। এলাকাবাসি জানায়, আনুমানিক ৮ মাস আগে শমসের আলীর ছেলে তাজমুল ইসলাম একই গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের মেয়ে ময়না খাতুনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের আট মাস যেতে না যেতেই তাজমুল ময়নাকে গত ২১ মার্চ ডিভোর্স দেয়।
ডিভোর্সের জের ধরে ময়না খাতুনের আপন ভাই শরিফুল ইসলাম, মশিয়ার রহমান, চাচাতো ভাই মফিজুর রহমান, শফিকুল ইসলাম ও মুক্তার গতকাল সন্ধ্যায় তাজমুলের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় তাহমুলের বড় ভাই ইমান আলী গুরুতর জখম হয়। হামলাকারীদের হাত থেকে বড় ভাইকে বাঁচাতে টিপু সুলতান ও তার গর্ভবতী স্ত্রী রাবেয়া খাতুন ছুটে আসে। এ সময় তারাও আহত হয়। তাদের চিৎকারে এলাকাবিস ছুটে এসে উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং ৩২। মামলার আসামিরা হলেন শরিফুল ইসলাম, মশিয়ার রহমান, পিতা তোফাজ্জেল ওরফে ঝোড়ো, মফিজুর, শফিকুল ইসলাম পিতা-মনসের আলী, মুক্তার হোসেন, পিতা- শওকত ওরফে টেংরা।ভুক্তভোগী তাজমুল ইসলাম জানান, ময়না ও সে যশোরে পড়াশোনা করত। এ সময় তাদের মাঝে ভালো বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সময় তাকে পাদে ফেলে ময়না জোরপূবর্ক বিয়ে করে। এই বিয়ে সে মেনে নিতে পারে নি। তাই সে ২১ মার্চ তাকে ডিভোর্স দিয়েছি। এ বিষয়ে আবাসিক মেডিকেল আফিসার নাহিদ সিরাজ জানান, আহত ইমান আলী এখন সুস্থ আছেন। তবে রাবেয়া খাতুন ৫ মাসের গর্ভবতী হওয়া একটু ঝুকিতে আছেন।
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ রিফাত খান রাজিব জানান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেয়ে পক্ষ সকালে অভিযোগ দিয়েছিলো। আগামী বুধবার মেয়ে এবং ছেলে পক্ষকে নিয়ে বসে মীমাংসা করতে চেয়েছিলাম। তারপরও মেয়ের ভাইরা হামলা করেছে। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। আসামীদেরকে যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply