বর্তমানে মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত গ্রাহকের কোনো হ্যান্ডসেট বন্ধ হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর এসেছিল, ১ জুলাই থেকে অবৈধ স্মার্টফোন বন্ধের প্রযুক্তি চালু করবে বিটিআরসি। বিটিআরসি তাদের ফেসবুক পোস্টে লিখেছে, “বর্তমানে মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত গ্রাহকের হ্যান্ডসেটসমূহ ৩০ জুন ২০২১ এর মধ্যে বিটিআরসির সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। ফলে ১ জুলাই হতে এ সেটগুলো বন্ধ হবে না। তাই সবাইকে এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করা হলো।” এরআগে জানা গিয়েছিল, ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) তালিকায় যেসব ফোন থাকবে না সেগুলো অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে। সেগুলো আর চালু করা যাবে না। তবে যাদের কাছে ইতোমধ্যে অবৈধ ফোন চালু আছে তাদের সময় দেওয়া হবে। বর্তমানে দেশে মোবাইলফোন গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১৬ কোটিরও অধিক। মোবাইলফোন গ্রাহকদের চাহিদা পূরণের জন্য প্রতিবছর বিদেশ থেকে প্রায় এক দশমিক পাঁচ কোটি মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানির পাশাপাশি কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবেও হ্যান্ডসেট আমদানির অভিযোগ আছে। মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিটিআরসি ১ জুলাই, ২০২১ থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) চালু করা হচ্ছে। সম্প্রতি বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেছেন, “আমরা ব্যবস্থাটি এমনভাবে চালু করব যাতে গ্রাহকের ওপর চাপ না পড়ে। মূলত রাজস্ব ফাঁকি ও অবৈধ স্মার্টফোনের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঠেকানোর লক্ষ্যে কাজটি করা হচ্ছে।” মোবাইল ব্যবসায়ীদের হিসাবে, দেশে বর্তমানে প্রায় তিন কোটি অবৈধ হ্যান্ডসেট মানুষের হাতে রয়েছে।
Leave a Reply