মানিকগঞ্জ গতকাল ২২ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মানিকগঞ্জে নিজ বাড়ীতে দিনের বেলা মেয়ের (জ্যোতি) হাত পা বেঁধে ও মুখে কাগজ গুজে দিয়ে পাশের কক্ষে মা মাহমুদা বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধুকে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা ।
নিহত মাহমুদা দক্ষিণ সেওতা এলাকার পোলট্টি ব্যবসায়ী অলিয়ার রহমানের স্ত্রী। নিহত মাহমুদা এক ছেলে ও এক মেয়ে দুই সন্তানের জননী। ঘটনার সময় ছেলে বাসায় ছিলেন না। সে স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করে। মেয়ের বিয়ে হয়েছিল সে ডিভোর্স প্রাপ্ত বলে জানা গেছে। বুধবার সকালে মানিকগঞ্জ শহরের দক্ষিন সেওতা এলাকার ৫তলা বিশিষ্ট নিজ বাড়ির ২য় তলা থেকে ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। নিহতের স্বামী অলিয়ার রহমান বাসার ৫ম তলার ছাদে কাজ শেষে ঘরে ঢুকে মেয়ের হাত-পা বাধা ও মুখে কাগজ গুজা অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় পাশের কক্ষে স্ত্রীকে গলায় গামছা বাধা অবস্থায় মৃত দেখতে পায়। নিহত মাহমুদার স্বামীর চাচাতো ভাই জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড: আব্দুল মজিদ ফটো বলেন, তার ভাই এবং ভাবীর মধ্যে খুব ভালো সর্ম্পক ছিল। কয়েক মাস আগে তারা হজ্ব করে এসেছে। ভাবীর মৃত্যুও খবর শুনে দ্রæত ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারি হঠাৎ ঘরে ঢুকেই আনুমানিক ৬/৭ জন যুবক তাদের ঘরে প্রবেশ করে। পরে মেয়ে জ্যোতিকে হাত-পা বেঁধে ও মুখে কাগজ গুজে দেয়। পাশের রুমেই মাকে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
তিনি এ ঘটনার সাথে জরিতদের খুজে বের করে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে মৃত্যুদন্ডের বিচারের দাবী জানান। এ বিষয়লে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম এর সাথে কথা বলে জানা যায়, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে দুর্বৃত্তরা বাসায় ঢুকে মেয়েকে হাত-পা ও মুখে কাগজ গুজে দিয়ে পাশের রুমে মাহমুদাকে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কি কারনে খুন হয়েছে, খুনের রহস্য কি? আমরা উদঘাটন করার চেষ্টা করছি। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে আমরা প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply