মিথ্যা মামলায় কলাপাড়ার ডালবুগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান কারাগা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক একজন সৎ নির্ভীক বারবার নির্বাচিত স্বর্ণপদক প্রাপ্ত সফল চেয়ারম্যান জনাব আব্দুস সালাম সিকদার তাঁর ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য শাহানারা বেগম শানুর ঘুষ-দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে আজকে আইনি চোখের দোষী সাব্যস্ত হলেন। উল্লেখিত শাহানারা বেগম বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, ভিজিডি, জেলে সাহায্য এমনকি প্রতিবন্ধী ভাতা থেকেও প্রতিনিয়ত ২০০০ থেকে ৫০০০টাকা ঘুষ নিতেন। অথচ এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যকে নিয়ে চেয়ারম্যান সাহেব একটি মিটিংয়ে বলেন যে , “জননেত্রী শেখ হাসিনার দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি থেকে যদি কেউ একটি টাকাও ঘুষ নাও তাহলে তাহার জন্য বেহেস্ত হারাম হইবে।কে? কে? রাজি আছো? হাত উত্তোলন করো। ”
ওই মিটিংয়ের সকলেই হাত উত্তোলন করেছিলেন কিন্তু ওই মহিলা শাহানারা শানু হাত উত্তোলন করেন নি। সে প্রকাশ্যে সকলের সামনে বলল যে, “আমি ছয় সাত লাখ টাকা খরচ করে মহিলা মেম্বার হয়েছি। আমার টাকা খাইতেই হবে। ”
তখন সবাই তাকে তিরস্কার করেন। পরবর্তীতে ৪২ জন
নারী-পুরুষ চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ পেশ করেন। উক্ত লিখিত অভিযোগের পর চেয়ারম্যান সাহেব পরিষদের সকলকে নিয়ে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করেন।তারপর ঐ মহিলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় ১২ টি মিথ্যা মামলা করেন। যাহার ফলশ্রুতিতে ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের প্রায় ৫০০০ নারী পুরুষ উপজেলা শহরে ঐ মহিলার বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করে নির্বাহী অফিসারের বরাবর স্মারক লিপি পেশ করেন। চেয়ারম্যান মানববন্ধনের পরে প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেই সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান সকল সাংবাদিক বন্ধুদের
প্রতি আহ্বান জানান তার পরিবারের দাবী করছেন যে,সরেজমিন এর তদন্ত পূর্বক এই মহিলার স্বরূপ উদঘাটনের জন্য আহবান জানান।ঐ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের প্রারম্ভে চেয়ারম্যান ঐ মহিলা কে দুশ্চরিত্রা বলে ফেলেন।কিন্তু চেয়ারম্যান সাহেব দুশ্চরিত্রা বলতে অসৎ আচরণকে বুঝিয়েছেন।দেহ ব্যবসায়ী বুঝাতে চান নি।অথচ কিছু অতি উৎসাহী লোকজন নেগেটিভ সেন্স ধরে ঐ মহিলা কে উস্কানি দিয়ে একটি মানহানি মামলা দায়ের করেন।উক্ত মামলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ৫০০ধারায় চার্জ গঠন করে ১ বছর ২ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
Leave a Reply