পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলার নাইক্ষংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ এর দফাদার (গ্রাম পুলিশ) ছৈয়দ আলম । যার বিরুদ্ধে হাজার হাজার দুর্নীতির অভিযোগ সাধারণ জনগনের মুখে মুখে।
মায়ানমার বর্ডারের নিকটস্থ বান্দরবান জেলার নাইক্ষংছড়ি উপজেলার যাবতীয় দুর্নীতি গুলো তার হাত দিয়েই হয়। মাদক চুরা কারবারি, মরণ নেশা ইয়াবা, রুহিঙ্গা পাচার সহ যাবতীয় সকল দুর্নীতিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ তার হাত থাকেই।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাংবাদিক টিম যায় ঘুমধুম ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মঞ্জয়পাড়ার বড়ইতলী গ্রামে।
সেখানে গিয়ে সাংবাদিক টিমের স্ব-চক্ষে পড়ে এই ক্রিমিনাল দফাদার এর দুর্নীতি।
অসহায় এক টমটম চালক আবুল বশর এর ছেলে আব্দুল হাকিম (২২) । ঘুমধুম হতে ৩ জন যাত্রী গাড়িতে তুলে । তিনি স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিনের মতো যাত্রী নিয়ে আসছিলো। পথিমধ্যে পড়ে যায় দূর্ণীতির হেড দফাদার ছৈয়দ এর সামনে। হঠাৎ গাড়ির ড্রাইভারকে মামলা হামলা দেবে মরমে গাড়ি থেকে নামিয়ে ফেলে, আরো বলতে থাকে যে তুর গাড়িতে মাদক আছে, গাড়ি থানাই দিয়ে দেবো।
ড্রাইভারকে আরো বলে, আমি ইউএনওকে কল দিছি, ওসিকে ফোনে বলেছি তুকে এখন নিয়ে যাবো।
তবে এক শর্তে গাড়ি ছেড়ে দেবো। আমাকে ২০ হাজার টাকা দিলেই গাড়ি নিয়ে যেতে পারবি।
তখন ড্রাইভার তার কাছে টাকা নাই বল্লে দফাদার ছৈয়দ ও তার সহকর্মী রপন দুজনেই বেথ দিয়ে বেদড়ক মারধর করতে থাকে।
সাংবাদিক টিমের সদস্যরা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অসহায় ড্রাইভারকে মারতে বারণ করলে সাংবাদিক দেরকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের দুই দফাদার মারধর করতে প্রস্তুত হলে অবস্থা বেগতিক দেখে সাংবাদিকরা অবস্থান ত্যাগ করে ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের হেফাজতে চলে যায়।
কর্তব্যরত ইনসার্চ আশ্যস্থ করে যে, এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আগামী কালকেই আমরা ঘঠনাস্থলে যাব। যদি সে অপরাধী হয় তাহলে আইন আইনের ধারায় চলবে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply