মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪০ অপরাহ্ন

মাহাবুব এর বিরুদ্ধে সমাজকে অস্থির করার অনেক অভিযোগ রয়েছে এবাদুল করিম বুল বুল এমপি! ? Matrijagat TV

ব্রাক্ষণবাড়িয়া প্রতিনিধ হেবজুল বাহার
  • আপডেট টাইম সোমবার, ১১ মে, ২০২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নবীনগর আসনে সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুল বলেছেন,এম এস কে মাহবুব নামে ছেলেটি মাদকাসক্ত। তিনি বলেন, সাত আট বছর আগে তার পরিবারের লোকজন মাদক আইনের মামলায় তাকে ছাড়াতে আমার কাছে সুপারিশের জন্য এসেছিল। কয়েকবার মাদকসহ পুলিশ তাকে গ্রেফ্তার করেছে সে জেলও খেটেছে। তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাংবাদিকসহ সমাজের বিশিষ্ঠ ব্যক্তিদের উপর ব্যক্তিগত আক্রমন করে অশ্লিল মন্তব্য করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সমাজকে সে অস্থির করে ফেলেছে। একটা নেশাখোর ছেলের পক্ষে একটি মহলের উস্কানিমূলক লেখানিতে আমি বিব্রত”। মাদকসহ এলাকাবাসি তাকে ধরেছে তদন্তের মাধ্যমে আইনী প্রক্রিয়ার তার বিচার হবে’। গতকাল সোমবার (১১/০৫) তার নিজ বাড়িতে অসহায় মানুষদের সাহায্যের প্রাক্কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আলোচিত ভূয়া ডিভি পুলিশ সানাউল্লাহ মাহবুব (এম,এস,কে মাহবুব)আবারো ইয়াবাসহ এলাকাবাসি আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। পুলিশ রবিবার(১০/৩) সন্ধ্যায় তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এই আলোচিত ভূয়া ডিবি পুলিশ এম এস কে মাহাবুব এর বিরুদ্ধে এলাকায় ভুয়া পুলিশ সেজে চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইলিং, মাদক ব্যবসা সেবনসহ সমাজকে অস্থির করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তার পিতার নাম হুমায়ুন কবির(বসু মিয়া)বাড়ি নবীনগর পূর্ব পাড়া বেপাড়ী বাড়ি।
এলাকাবাসি ও বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, মাদকাসক্ত হয়ে ইয়াবাসহ কয়েকবার হাতেনাতে পুলিশের হতে গ্রেপ্তার হয়। মোবাইল কোর্টেও তার দুই মাসের সাজা হয়। এছাড়াও মাদক নিয়ে একাধিক জায়গায় মারামারি দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি এবং উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছে। ইতিপূর্বে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। জেল থেকে বের হয়ে শান্ত সমাজের পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করতে রাজনৈতিক, প্রসাশন, ডাক্তার, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক এমনকি ধর্মীয় অনুভুতির উপর আঘাত এনে তার ফেসবুক প্রোফাইলে নানাহ্ অশ্লীল মন্তব্য করে স্ট্যাটাস দিতে থাকে। ‘মোল্লারা ভন্ড’ ‘মোল্লাদের গায়ে দুর্গন্ধ’ এইরকম আরও অনেক উস্কানি ও হুজুরদেরকে কটাক্ষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেইসবুক) আপলোড দিয়ে এলাকার পরিস্থিতি ঘোলাটে করছে। শুধু তাই নয় সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে নিয়েও ফেসবুকে ট্রল করেছে। সর্বশেষ কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার পিছনের গেইট ইয়াবা বিক্রি করার সময় হাতেনাতে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করার সময় জনতার সাথে দস্তাদস্তি করতে গেলে তার সাথে সাধারণ মানুষের সামান্য হাতাহাতি হয়। এ সময় তার নিজের দামী এন্ড্রয়েড মোবাইলটি মাদ্রাসার পাশের পুকুরের মধ্যে ফেলে দেয়। ধারনা করা হচ্ছে ঐ মোবাইলের ব্যাক কভারের ভিতরে ইয়াবা রয়েছে, তার জিন্সের পেন্টের সামনের পকেট থেকে একটি পলিথিনে পেচানো ৭ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এ ছাড়াও গত ১৭ সালে ২২ ফেব্রুয়ারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আসামী হয়ে দীর্ঘদিন কারাবাসে ছিল সে।
এ ব্যপারে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ রনোজিত রায় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তার বিরোদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশালীন মন্ত্যব্যের অভিযোগ ও নারী নির্যাতন, মাদক দ্রব্য ব্যাবহার, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মাওলানা মেহেদী বলেন, ওই মাদ্রাসার পিছনে মানুষের জটলা দেখে সেখানে যাই গিয়ে দেখি তাকে মাদকসহ ধরে তাকে গণধোলাই দিচ্ছে, তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে আইনের হাতে সোপর্দ করি। মাদকসেবন ছাড়াও সে একটি কুুচক্রী মহলের মদদে ওলামায়ে কেরাম ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কটাক্ষ করে মন্তব্য করে ফেসবুকে লেখালেখিতে এলাকার শান্ত পরিবেশ উতপ্ত করে তুলেছে। তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযু্িক্ত আইনে মামলা প্রক্রিয়া চলছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির বলেন, শুনেছি এলাকাবসি মাদকসহ তাকে ধরে পুলিশে দিয়েছে। সে যদি অপরাধি হয় আইনি প্রক্রিয়া বিচার হবে। তবে ফেসবুকে সে কিছু আপক্তিকর মন্তব্য করে আসছিল আমি তাকে কিছু মন্তব্য মুছে ফেলতেও বলেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © Matrijagat TV
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
matv2425802581