মানিকগন্জের গোপালখালী বাজারে ৪টি দোকানে অবৈধভাবে বৈদ্যুতিক সার্ভিস তার পরিবর্তন করে বালিরটেক পল্লীবিদ্যুত অফিসের লাইনম্যান আলামিন কোনপ্রকার জমা রসিদ ছাড়া দোকানপ্রতি ২০০০ টাকা আদায় করে।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে একাধিক ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানাযায়, নাজিমউদ্দিন মিটার নং ১৭৪৪৭১৪, ইদ্রিস আলী হিসাব নং ০৯১-১২২৬সহ অন্যদের বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকাদিতে বাধ্য করে। এছাড়াও কলকারখানার জন্য শিল্প মিটার বরাদ্দ থাকার কথা থাকলেও গোপালখালী বাজারে একটি গ্রীল ওয়ার্কশপে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মিটার নং ০৪৭৩২৯৫ বাণিজ্যিক মিটার প্রদান করা হয়। এছাড়াও বালিরটেক পল্লীবিদ্যুত অফিসের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানীসহ অবৈধভাবে গ্রাহকদের কাছথেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা হরিরামপুর থানাধীন তন্তরখোলা গ্রামের কিসমত নামে একব্যাক্তি বহুতল ভবন নির্মানে বৈদ্যুতিক সংযোগের নিয়ম বহির্ভূতভাবে বালিরটেক পল্লীবিদ্যুত অফিস ইনচার্জ এর যোগসাজসে গত চারমাস যাবৎ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বহুতল ভবন নির্মানে অস্থায়ী মিটার নেওয়ার কথা থাকলেও কিসমত জানান বালিরটেক বিদ্যুত অফিস ইনচার্জ আসলাম এর মৌখিক অনুমতিক্রমে বহুতল ভবন নির্মানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এবিষয়ে আসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে জানা যায় এ বিষয়ে তিনি কোন কিছু জানেন না। উল্লেখ্য যে, বিদ্যুত অফিস কর্তৃক বর্তমান মিটারটি ১ কিলোওয়াট বিদ্যুত বরাদ্দ থাকলেও উক্ত ভবনটিতে আনুমানিক ১০ কিলোওয়াট বিদ্যুত ব্যাবহার হচ্ছে। যার দরুন যেকোন সময় ট্টানসফরমার বিকল হয়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বঙ্গবন্ধুর শততম জন্ম বার্ষীকি উপলক্ষে, দূর্নীতির বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স ঘোষনা উপেক্ষা করে বালিরটেক পল্লীবিদ্যুত অফিসের রমরমা ঘুষ বাণিজ্য বন্ধে ইনচার্জ ও লাইনম্যান এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয় জনগন।
Leave a Reply