প্রতি বছরের ন্যায় এবার ও মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলার গাছিরা খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।
শীত শুরু হবার সাথে সাথেই খেজুর গাছ কাটার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে গাছিদের মধ্যে। কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় চলছে শীতের আমেজে। মানিকগঞ্জে প্রায় তিন হাজার মানুষ রস সংগ্রহে জরিত বলে জানা গেছে। বছর জুরে অযত্নে পরে থাকা খেজুর গাছগুলো পড়ে থাকলেও শীতকালে গাছের চাহিদা ও যত্নে বেড়ে যায়। কারন,গাছ থেকে আহরিত হয় সুমধুর রস।
রস জাল করে পাটালিগুর, ঝোলাগুর, দানাগুরসহ বিভিন্ন ধরনের গুর তৈরি করে দেশ বিদেশে বিক্রিয় করা হয়ে থাকে। খেজুর রসের তৈরি পাটালি গুরের ঘ্রান এলাকা মৈমৈ করে। তবে যত বেশি ঠান্ডা পরবে তত বেশি খেজুরের রস উৎপাদন হবে। পুরো মৌসুম চলবে রস আহরন। গাছিরা রস আহরন করে বাড়িতে জাল দিয়ে গুড় তৈরি করে বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করে থাকেন। আর কয়েক দিন পরে নতুন গুড়ের মিষ্টি গন্ধে ধীরে ধীরে আমোদিত হয়ে উঠবে গ্রাম-বাংলা। শুরু হয়েছে রস সংগ্রহের কাজ।
উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের মোঃ সফিজ উদ্দিন (৬৭) বছর। প্রায় ৪২ বছর ধরে খেজুর গাছ জোরার কাজ করেন। তার বাবা মৃত শহিমুদ্দিন এ পেশার সাথে জরিত ছিল । মুলত পৈতিক সুত্রে রস সংগ্রহের কাজ করেন। আর্থিক সংকটের কারনে তিনি ১৮/২০ বছর বয়সে খেজুর গাছ জুরার কাজ করেন। প্রথমে তার বাবার সাথে কাজ শুরু করেন। বাবার কাছ থেকেই তিনি কাজটি শিখেছেন। তার বাবা মারা যাবার পরে এলাকার গাছি হিসাবে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। চলতি বছরে তিন মাসের জন্য সফিজ উদ্দিন প্রায় ২০টি খেজুর গাছ অগ্রিম টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে।
এছাড়া ভাগে আছে আরো ২০/২৫টি খেজুর গাছ। তিন মাসের রস বিক্রির টাকা দিয়ে তাকে ৬টি মাস চলতে হয়। বাকি ৬মাস কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয় ।
Leave a Reply