মনিহারপুর-রামকৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষিকা বুলবুলি ফেরদৌস পলির বেহাল দশা
স্টাফ রিপোর্টার:
নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নে অবস্থানরত মনিহারপুর- রামকৃষ্ণপুর(এম আর)উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষিকা বুলবুলি ফেরদৌস পলির বেহাল দশা।
সূত্রে জানা গেছে,মনিহারপুর- রামকৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষিকা বুলবুলি ফেরদৌস পলির নামে ২০১৮ সালে স্কুলের কিছু কুচক্রী মহলের সহযোগিতায় অবৈধ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে নাটোর আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ।মামলাটির নং সিআর ৩০৯/১৮ (লাল)
যাহা গত ১৫/০২/২০২২ সালে নাটোর আদালতে মিথ্যা বলে প্রমানিত হয় এবং বেকসুর খালাস পান।
অপর দিকে শুধু মামলা করেই ক্ষান্ত হয় নি,মামলার পরে বুলবুলি ফেরদৌসের বেতন পর্যন্ত ব্যাংকে আটকা রেখেছে কৌশল করে।
বর্তমানে তিনি মানবতের জীবন যাপন করছে।
এ বিষয়ে কম্পিউটার শিক্ষিকা বুলবুলি ফেরদৌস কান্না জড়িত কন্ঠে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন,আমি কোন অন্যায় করনি,স্কুলে নিয়োগের পর থেকেই আমি অত্র স্কুলের সকল নিয়ম কানন মেনে চলি তবুও আমার নামে অবৈধভাবে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ভাবে মামলা করা হয়েছে।যা আমি গত ১৫ই ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং তারিখে আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে বেকসুর খালাস পেয়েছি।
শুধু মামলা করেই তারা ক্ষান্ত হয় নি আমার বেতন পর্যন্ত কৌশলে ব্যাংকের মাধ্যমে আটকা রেখেছে।আমি নিয়মিত স্কুলে আসি ব্যাংকে বেতন জমা হয় কিন্তু টাকা উঠাতে পারি না,স্কুল কর্তৃপক্ষ কৌশল করে আমার স্বাক্ষর জাল করে বেতন আটকা রেখেছে।
তিনি আরো বলেন,আমি দীর্ঘদিন ধরে বেতন উঠাতে না পারায় এবং মামলার জটিলতা নিয়ে মহাবিপদে আছি।
ছেলে মেয়ের লেখা পড়ার খরচ পর্যন্ত যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না সব মিলিয়ে আমি মানবতের জীবন যাপন করছি।
পরিশেষে তাহার নামে যে মামলা হয়েছিল সেটা আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে এবং বেকসুর খালাস পেয়েছে এবার তিনি ঐ মামলার সূত্র ধরে হয়রানি মূলক মামলা দায়ের করবেন বলেও জানিয়েছেন কম্পিউটার শিক্ষিকা বুলবুলি ফেরদৌস।
এ বিষয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান কে মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেন নি।
Leave a Reply