বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৩ পূর্বাহ্ন

ভোলার বেপারী বাজার স্ত্রী-সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে অনশন|বিচারের নামে প্রতারণা অর্থ আআত্মসাৎ

ভোলা প্রতিনিধিঃ-
  • আপডেট টাইম শুক্রবার, ১১ জুন, ২০২১

ভোলার আলীনগর ইউনিয়নের বেপারী বাজার দর্জিবারি প্রেম করে বিয়ের পরও স্বামীর ঘরে উঠতে পারেননি নাজমা বেগম নামে এক গৃহবধূ ও তার অনাগত ছেলে সফিজুল বিয়ের ১১ বছর পরও পুত্রবধূ হিসেবে শ্বশুরবাড়িতে স্বীকৃতিও মিলেনি তার। তাই শ্বশুরবাড়িতে পুত্রবধূর স্বীকৃতির দাবিতে এখন স্বামীর বাড়িতে অনশন করছে নাজমা বেগম নামের গৃহবধূ। স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করে অনশন করায় ক্ষুব্ধ শ্বশুরবাড়ির লোকজন কয়েক দফা তাকে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গৃহবধূ নাজমা বেগম কে নির্যাতন করা হলেও রহস্যজনক কারণে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেন। জানা যায় ভোলার উপজেলার বেপারী বাজার দর্জিবারি কুট্টি মিয়ার ছেলে অহিদুর রহমান (৩৫) ২০০৯ সালে কুমিল্লা জেলা দেবুদ্বার থানা এলাকার সোলাইমান এর মেয়ে নাজমা বেগম কে পালিয়ে বিয়ে করেন। তার স্ত্রী নাজমা বেগম কে নিজ বাড়িতে না তুলে শ্বশুরবাড়িতে (নাজমা বেগমের বাড়িতে) রেখে যান। এবং স্বামী অহিদুর রহমান নিয়মিত স্ত্রীর নাজমা বেগমের সঙ্গে রাত্রী যাপন করতেন, কিন্তু স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি না নিয়ে বাবার বাড়ি রেখে যান। অহিদুর রহমান এর মধ্যে স্ত্রী শারমিনের বাবার বাড়ি এসে থাকতেন স্বামী অহিদুর রহমান, স্ত্রী শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা বললে বিভিন্ন কৌশলে এড়িয়ে যেতেন স্বামী। এরই মধ্যে বিয়ের ৬ মাস না যেতেই নাজমা বেগমের কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন স্বামী অহিদুর রহমান। অনেক কষ্ট করে নাজমা বেগম দুই লক্ষ টাকা ম্যানেজ করে দেন তার স্বামী আমির হোসেনকে একই সঙ্গে বাকি তিন লাখ টাকা দিতে না পারলে শারমিনকে শ্বশুরবাড়িতে নেয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয়া হয় তার পর ৬ মাস তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন অহিদুর রহমান এ অবস্থায় গত রবিবার স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে অনশনে বসেন নাজমা বেগম ও তার ছেলে সফিজুল। কিন্তু একদিন পেরিয়ে গেলেও নাজমাকে ঘরে ঢুকতে দেয়নি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় ভোলা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নাজমা বেগম। নাজমা বেগম বলেন, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে অহিদুর রহমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে আমাকে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করে সে। ২০০৯ সালে অন্তঃসত্ত্বা হলে গর্ভপাত করায় অহিদুর রহমান, ২০০৯ সালেই বিয়ে করেন আমায় কিন্তু বিয়ের ছয় মাস না যেতেই পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। আমি অনেক কষ্ট করে ২ লাখ টাকা দেই সেই সঙ্গে বাকি তিন লাখ যৌতুকের টাকা না দিলে ঘরে তুলবে না বলে জানিয়ে দেয়া হয়। অনেক ধৈর্য যাপন করে ১১ বছর পর উপায় না পেয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে শ্বশুরবাড়ি অনশনে বসেছি আমি। তিনি বলেন, রবিবার সকাল এ শ্বশুরবাড়ি এলেও এখন পর্যন্ত আমাকে ঘরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ অবস্থায় শ্বশুরবাড়ির দরজায় বসে আছি আমি। স্ত্রীর স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত আমি এখানেই থাকব। এদিকে উক্ত বিষয়টি ভোলা শিবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রতনপুর এর ৯ নং নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. আবদুল মান্নান ও নাজমা আক্তারের পক্ষে পরিচিতা বাসস্ট্যান্ডের শাকিল,আল আমিন ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনলাইনের পত্রিকার এক সাংবাদিক এবিষয়টি দামাচাপা দিতে দফায় দফায় প্রচেষ্টা চালায় বলে জানায় ভুক্তভোগী নাজমা বেগম। নাজমা আরো জানান,শাকিলের মাধ্যমে তিনি কথিত এক সাংবাদিক নিয়ে ভোলা সদর থানায় অভিযোগ করার কথা জানায়।এবং সেখানে থানায় অভিযোগ এবং সংবাদ প্রকাশের কথা বলে শাকিল ও কথিত সাংবাদিক দুই দফায় মোট ১১ হাজার টাকা নেয়। তবে কোন প্রকার থানায় মামলা বা অভিযোগ দাখিল করেনি বলে অভিযোগ তার।পরে এবিষয়টি জানতে পেরে ভোলার শিবপুর ইউনিয়ন এর ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান মেম্বার তার স্বামী অহিদুরের পক্ষনিয়ে তাদের সাথে আলোচনা ও সমাধানের অশ্বাসে বিচারের সিদ্ধান্তে নাজমা বেগম ও শাকিল ও সাংবাদিক এর মধ্যে আলোচনা হয়।তবে বিচারের নামে প্রহসন ও নাটকীয় কায়দায় ভুক্তভোগী নারী ও সন্তানের ভরণপোষণের কথা থাকলেও তাকে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে ভুক্তভোগী নাজমা বেগমকে হুমকি দামকি দিয়ে এলাকা থেকে চলে যাওয়ার কথা বলে মান্নান মেম্বার সহ দালাল চক্রের সদস্যরা।পরে বিষয়টি ন্যায় ও ইনসাফ পেতে বিষয়টি জাতীয় সাংবাদিক ঐক্য ফোরামের ভোলার সাংগঠনিক সম্পাদক এম এইচ ফাহাদ এর নিকট অবহিত করেন ভুক্তভোগী অসহায় নাজমা বেগম। এবিষয়ে মেম্বার মান্নানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি ঘটনা স্বীকার করে বলেন, তাহাকে শাকিল আল আমিন ও কথিত সাংবাদিক তরিগরি করে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।তাছাড়া তিনি অভিযুক্ত পরিবারের সাথে কথা বলে,তালাকের সিদ্ধান্তে,স্বামী পরিবারের পক্ষহতে মোট ৫০ হাজার টাকা নেয়া হয়। যার সাংবাদিক ও দালালদের জন্য ১২ হাজার টাকা খরচ বাবদ দেন। এবং ৩’হাজার টাকা বিবাহ বিচ্ছেদের অর্থাৎ কাজীকে এবং অসহায় নারীকে ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করেন বলে তার একান্ত জবানবন্দিতে উঠে আসে বিচারের নামে প্রহসনের ন্যাক্কারজনক আসল ঘটনা। এদিকে আল আমিনসহ নাজমা বেগম এবং অভিযুক্ত স্বামীর পরিবারের পক্ষহতে জানা যায় এ ঘটনায় মোট ১থেকে দের লাখ টাকার মতো দেওয়া হলেও বাকী টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে মেম্বার মান্নান সহ মিডিয়া সাংবাদিক ও দালালেরা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী নাজমা আক্তার। যিদিও এসব অস্বীকার করেন মান্নান মেম্বার। এবিষয়ে নাজমা আক্তার তার অভিমত ব্যক্ত করে জানান,তিনি একজন অসহায় নারী। যেহেতু স্থানীয় শালিশি বিচারের ও দালালদের দেয়া প্রতিশ্রুতিতে তিনি প্রতারিত হয়েছেন এবং স্বামী ও তার সন্তানের ন্যায্য অধিকার হতেও বঞ্চিত। তাই তিনি পরবর্তীতে বিচার চেয়ে আইনিপদক্ষেপ গ্রহনের করবেন বলে জানান।পাশাপাশি যারা তার এ বিচারের নামে প্রহসন ও সরলতার সুযোগ নিয়ে প্রতারণা জালিয়াতির করেছে তার স্বামী অহিদুর সহ সবাইকে আসামি করে তিনি মামলার ব্যবস্থা গ্রহনের কথাও জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নাজমা বেগম সহ তার পরিবারের সবাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © Matrijagat TV
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
matv2425802581