জনগণের সেবা করাই যার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত সেই জনপ্রতিনিধির নামেই প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, জমি দখলসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ।
মানিকগঞ্জের ভাড়ারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে ১৮টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জমা পড়েছে জেলা প্রশাসন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সরকারি দপ্তরে। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। আর দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের বরুনা-খাবাশপুর রাস্তা। এটির উন্নয়নে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বরাদ্দ হয়েছিল ১৭ লাখ টাকা। তিন বছর পার হলেও আগের চেহারা রয়ে গেছে রাস্তাটির। কিছু জায়গায় কাজ হয়েছে নামমাত্র। অথচ পুরো টাকা তুলে নিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের। যিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে বানানো রাস্তা সরকারি প্রকল্প দেখিয়ে অর্থআত্মসাৎ, বিধবা আর প্রতিবন্ধী ভাতায় ঘুষ নেয়া, জমি দখলসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন, ইউনিয়ন পরিষদের ১০ সদস্য।
স্থানীয়রা জানায়, নিজের জায়গা বাদ দিয়ে অন্য জায়গা দখল করেছে। জোর করি নিয়ে গেছে এলাকাবাসীর কিছু করার ছিল না। চেয়ারম্যান এলাকায় কাজ করে নাই আরো ১৭ লাখ টাকার মধ্যে ১-১.৫ লাখ টাকার কাজ করছে। বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী টাকা প্রকল্প তিনি কোন মেম্বারদের হাতে দেননি, নিজেই টাকার বিনিময়ে বিক্রি করছেন। এসব অভিযোগ স্বীকার করে উপজেলা প্রশাসনের কাছে ক্ষমাও চান অভিযুক্ত চেয়ারম্যান।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, সে কয়েকবার আমার কাছে মাফ চেয়েছে। সে যে দুনীর্তি করেছে এগুলো স্বীকার করেছে। এবং এগুলো থেকে অব্যাহতির জন্যও আমাকে অনুরোধ করেছে। তবে ক্যামেরার সামনে অভিযোগ অস্বীকার করেন ভাড়ারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের।
তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে কোন সত্যতা যাচাই হবে না, করতে পারবে না। এটা কিছু ভুল তথ্য দিয়ে একটা ভাবমূর্তি নষ্ট করা। আব্দুল কাদের দ্বিতীয়বারের মতো ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ২০১৬ সালে।
Leave a Reply