পঞ্চগড়ের বোদায় এক গৃহ বধু (২৫)কে অপহরন করে গণধর্ষন করেছে ৪ ধর্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে ২৬ অক্টোবর সোমবার দিবাগত রাতে মাক্রোবাসের ভিতরে। এঘটনায় ওই ধর্ষিতা বাদী হয়ে ২৭ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে বোদা থানায় চার জনের বিরুদ্ধে অপহরন ও গণধর্ষনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামীরা হলেন,জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের সোনাপাড়া গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে জাহিদুল ইসলাম রতন (২৫),একই গ্রামের নবাব উদ্দিনের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৩০).পঞ্চগড় সদর উপজেলার নিমনগর গ্রামের আবুল হকের ছেলে শহীদুল ইসলাম (২৭) ও একই উপজেলার শিকারপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নুর আলম (২৪) বোদা থানা পুলিশ মোবাইলের সুত্র ধরে প্রথমে মামলার প্রধান আসামী জাহিদুল ইসলাম রতনকে তার বাড়ি থেকে আটক করে। পরে তার কথামত অপর তিন আসামীকে আটক করা হয়। বোদা থানা পুলিশ আটক কৃত আসামীদের গতকাল বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে এবং ডাক্তারি পরীক্ষর জন্য মামলার বাদীকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। পুশিল ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,জাহিদুল ইসলাম রতন ২৬ অক্টোবর সোমবার সন্ধায় জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী বাজারের বিআরটিসি স্টেশন থেকে গৃহবধু (২৫) কে জোর পুর্বক তুলে নিয়ে যায়। রিক্সা যোগে পঞ্চগড় সদরের রেল স্টেশন এলাকায় মৈত্রি তেলের বাম্পে নিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে চালকসহ ৪ জন ধর্ষন করে এবং সারা রাত জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাইক্রোতে ঘুরে ঘুরে তার উপর শারিরিক নির্যাতন চালায়। ২৭ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে তাকে বোদা বাসষ্ট্যান্ডে ফেলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। ওই গৃহবধু স্বামির বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি বলে পরে বোদা থানায় এসে চার ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পুলিশ রাতেই চার আসামীকে আটক করে এবং ধর্ষনে ব্যবহৃত মাইক্রোটি আটক করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বোদা থানার ওসি (তদন্ত) আবু সায়েম মিয়া মামলা ও আটকের বিষয়টি নিশ্চত করেছেন।
Leave a Reply