কোভিড- 19 এর বৈশ্বিক মহামারীর বিস্তার রোধ কল্পে সরকারের বেঁধে দেওয়া সপ্তাহব্যাপী কঠোর শাটডাউনের তৃতীয় দিন চলছে আজ। ঢাকার রাজধানী গুলশান বনানী মহাখালীতে এর প্রভাব দেখা যায়। সপ্তাহব্যাপী কঠোর শাটডাউনের প্রথম দিনে যতটা লোকসমাগম দেখা গিয়েছে তার তুলনায় গতকাল ও আজ অনেকটাই ফাঁকা দেখা যায় বাড্ডা,গুলশান, বনানী, মহাখালীতে। গতকাল পর্যন্ত কয়েকজনকে জেরা করলেও আজ তেমনটা লক্ষ করা যায়নি। মোড়ে মোড়ে পুলিশের তল্লাশি থাকলে ও বিনা কারণে বাইরে মেইন সড়কে তেমন লোকজন দেখা যায়নি। তৃতীয় দিনেও শাটডাউন কার্যকর করতে ও মাঠে ছিল পুলিশ, বি জে পি, সেনাবাহিনী সহ ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিস্ট্রেট। মেইন সড়কগুলো লোকসমাগম না থাকলেও এলাকার অলি -গলিতে ছিল চায়ের আড্ডা, ছিল লোকের সমাগম। পুলিশের গাড়ির সাইরেন বাজলেই দোকানের শাটার বন্ধ হয়ে যায় এসব এলাকায় আবার চলে গেলেই দোকান খোলা এমনটাই দেখা গিয়েছে রাজধানীর বাড্ডা,মেরুল, মহাখালী ওয়ারলেস মোড় ও কড়াইল বস্তিতে। সরেজমিনে দেখা যায় রাত আটটার সময় বাড্ডা, গুলশান এলাকার দোকানপাট বন্ধ হলেও বন্ধ হয়নি কড়াইল বস্তি ও মহাখালী আবাসিক এলাকার দোকানগুলো। শাটার বন্ধ করে চলছে জমজমাট ব্যবসা। এ যেন চোর-পুলিশ খেলা। মহাখালী পশু হাসপাতালের সামনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার জানান করোনায় তাদের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। তাই তারা এই পথ বেছে নিয়েছেন। পুলিশ ধরলেই গুনতে হয় জরিমানা। তার সাথে লাঠিচার্জ আছেই। কড়াইল বস্তি জামাই বাজারের চা দোকানদার জানান তাদের ব্যবসা করোনার শুরু থেকেই ভালো না। সমিতির কিস্তি নিয়ে দোকান চালিয়ে বিপাকে পড়েছে তারা। ঠিকমতো বাজার খরচ ও আয় হচ্ছে না। অনেকেই টাকা না দিয়ে বাড়ি চলে গেছে শুরুতেই। দোকানদার সাধারণ দিনমজুরদের ও জনগণের একটাই চাওয়া এবং পাওয়া কবে শেষ হবে এই বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-19। কবে ফিরে পাবে স্বাভাবিক জীবন।
Leave a Reply