কোভিড- ১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীর বিস্তার রোধ কল্পে সরকারের বেঁধে দেওয়া সপ্তাহব্যাপী কঠোর শাটডাউনের চতুর্থ দিন চলছে আজ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোলে এর প্রভাব দেখা যায়। সপ্তাহব্যাপী কঠোর শাটডাউনের প্রথম দিনে যতটা জনমানব শূন্য দেখা গিয়েছে তার তুলনায় গত দুইদিন ও আজ অনেকটাই ফাঁকা দেখা যায় মল্লিকপুর নিজামপুর নাচোলে। গতকাল পর্যন্ত কয়েকজনকে জেরা করলেও আজ তেমনটা লক্ষ করা যায়নি। মোড়ে মোড়ে পুলিশের তল্লাশি চেকপোস্ট থাকলে ও বিনা কারণে বাইরে মেইন সড়কে তেমন লোকজন দেখা যায়নি। তৃতীয় দিনেও শাটডাউন কার্যকর করতে ও মাঠে ছিল পুলিশ, বি জে বি, সেনাবাহিনী সহ ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিস্ট্রেট। জনাব সাবিহা সুলতানা ও সহকারী কমিশনার ভূমি জনাব খাতিজা বেগম । মেইন সড়কগুলো লোকসমাগম না থাকলেও এলাকার অলি -গলিতে ছিল চায়ের আড্ডা, ছিল লোকের সমাগম। পুলিশের গাড়ির সাইরেন বাজলেই দোকানের শাটার বন্ধ হয়ে যায় এসব এলাকায় আবার চলে গেলেই দোকান খোলা এমনটাই দেখা গিয়েছে । জেলার নাচোলে সরকারি বিধি নিষেধ অনুযায়ী তৃতীয় ও চতুর্থ দিনে বসতে দেয়া হয়নি কোন হাট-বাজার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছেন নাচোল উপজেলা নির্বাহি অফিসার সহকারী কমিশনার ভূমি। সরেজমিনে দেখা যায় রাত আটটার সময় নাচোল বাসস্ট্যান্ড এলাকার দোকানপাট বন্ধ হলেও বন্ধ হয়নি নাচোল উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটে এবং ভেতরের বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিতে রিপ্রেজেন্ট আবাসিক এলাকার চালায় তাদের মহড়া মধ্য বাজারে দোকানগুলো। শাটার বন্ধ করে চলছে জমজমাট ব্যবসা। এ যেন চোর-পুলিশ খেলা। নাচোল রেলওয়ে স্টেশন বাজারে সামনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার জানান করোনায় তাদের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। তাই তারা এই পথ বেছে নিয়েছেন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দোকান চালানো। পুলিশ ধরলেই গুনতে হয় জরিমানা। তার সাথে লাঠিচার্জ আছেই। নাচোল মধ্য বাজারের চা দোকানদার জানান তাদের ব্যবসা করোনার শুরু থেকেই ভালো না। সমিতির কিস্তি নিয়ে দোকান চালিয়ে বিপাকে পড়েছে তারা। ঠিকমতো বাজার খরচ ও আয় হচ্ছে না। অনেকেই টাকা না দিয়ে এ দিক সে দিক চলে গেছে । বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্ট এর বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব সুলতানা পাপিয়াকে বলে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি এবং রিপ্রেজেন্ট বাইরে বের করতে পারেননি তাহলে কি ধরে নেব সুলতানা পাপিয়া পার্সেন্টে রিপ্রেজেন্ট চালাচ্ছে তাদের। করোনা মহামারী যদি সাধারন জনগনের জন্য হয়ে থাকে তাহলে রিপ্রেজেন্ট রা কিভাবে তাদের হাত থেকে টিকিট নিয়ে ছবি নেই এবং বিভিন্ন ভাবে রোগীদের বিরক্ত করে প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে প্লিজ দয়া করে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। দোকানদার সাধারণ দিনমজুরদের ও জনগণের একটাই চাওয়া এবং পাওয়া কবে শেষ হবে এই বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯। কবে ফিরে পাবে স্বাভাবিক জীবন তারা।
Leave a Reply