বাগেরহাটের ফকিরহাটে আল-হেরা আলিম মাদ্রাসায় ৫ম শ্রেনীর ছাত্র নৈশ প্রহরী কর্তৃক বলাৎকারের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তোভোগী ও সহপাঠিদের ভাষ্যমতে গত শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী ঘুমন্ত থাকাকালীন মাদ্রাসার নৈশ প্রহরী শাহ আলম বলাৎকার করে। ভুক্তভোগীর ঘুম ভাঙলে চিৎকার করে উঠলে পাশে থাকা সহ-পাঠীরা টের পেলে ঐ স্থান থেকে পালিয়ে যায়।
সকালে বিষয়টি ভুক্তভোগী সহপাঠি জাহিদকে বলার পর বোর্ডিং পরিচালক জোহরা বেগমকে বলে । পরে বোর্ডিং পরিচালক জোহরা বেগম ভুক্তভোগী শিশূকে ভয়ভিতী দেখিয়ে কাউকে বলতে নিষেধ করে। জানা যায় জোহরা বেগম নৈশ প্রহরী মোঃ শাহ আলমকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন। শাহ আলম রুপসা থানার রামনগর গ্রামের মোঃ শামসুর রহমানের ছেলে । বিষয়টি সম্পর্কে মাদ্রাসার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক ও কর্মকতা জেনেও সরব ভুমিকা পালন করে এবং ভুক্তভোগীর পরিবারকেও বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেনি । বিষয়টি সাংবাদিকরা জানলে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে বোর্ডিং পরিচালক জোহরা বেগম ভুক্তভোগীকে সাংবাদিকদের অগোচরে ১০ টাকা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেই এবং যারা যারা ঘটনাটি দেখেছে তাদের একটি রুমে আবদ্ধ করে রাখে । সাংবাদিকরা দেখলে ওদের কে পরে তাদের মুক্ত করে দেই।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান শেখ এর সাথে কথা বলতে গেলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হাওলাদার আব্দুল হাকিম সাংবাদিকদের সাথে দূর্ব্যবহার করে। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান শেখ বলেন,বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানি কিন্তু ব্যাস্ততার কারণে ব্যাবস্থা গ্রহন করতে পারিনি। এদিকে বোর্ড পরিচালক জোহরা বেগম সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় এবং তার মুঠো ফোনটিও বন্ধ করে রাখে। বিষয়টি ভুক্তভোগীর পরিবার জানতে পারলে ভুক্তভোগীর মা সাংবাদিকদের বলেন,আমার ছেলের সাথে যে অপকর্ম করেছে এবং যে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে তাদের কঠোর শাস্তি দাবী করছি।
ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদ মোঃ খায়রুল আনাম বলেন,বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবহিত হয়েছি, এই ঘৃণিত কাজে যারা যুক্ত আছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো। এ রিপোর্ট লেখা অবদি ফকিরহাট মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
Leave a Reply