বাগেরহাটের ফকিরহাটের লখপুর ইউনিয়নের বাঐডাংগা বিএল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে একই এলাকার মৃত মাহাতাব সর্দার এর ছেলে রবিউল সর্দার (নবিন) সহ স্থানীয় একটি ভূমীদস্যু চক্র।এই চক্রটি জমি নিজেদের মালিকানা দাবী করে জাল কাগজপত্র তৈরী করে বিদ্যালয়ের মাঠ নিজ দখলে নেওয়ার জোর চেষ্টা করছে। এর আগেও ভূমীদস্যুরা স্কুলের জমি দখল করে গাছ পালা রোপন সহ ঘর নির্মাণ করেছে। এব্যপারে এলাকাবাসী গত ইং ০২-০২-২০২০ তারিখে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এ ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষ আরো বলেন ১৯০৬ সালে ব্রজমোহন শাস্ত্রে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত করেন।সেই সময় থেকে স্কুলের খেলার মাঠ হিসাবে জমিটি ব্যাবহৃত হয়ে আসছে।১৯৮০ সালে স্থানীয় মৃত মাহতাব সরদার এই স্কুলের মাঠের জায়গা জাল দলিল করে ভোগ দখলের চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ সরকার পক্ষ হতে ভিপি লীজ নিয়ে অদ্যবদি ভোগ দখল করে আসছে।প্রতি বছর এখানে ক্রিড়া অনুষ্ঠান,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ওয়াজ মাহফিল হয়ে আসছে।এমতাবস্থায় রবিউল সরদার ১৯৮০ সালে স্কুলের ৩৩ একর জমি জাল দলিল তৈরী করে ভোগ দখলের চেষ্টা করলে স্কুল কর্তৃপক্ষ উক্ত জাল দলিলকে চ্যালেঞ্জ করলে প্রমানিত হয় জমিটি স্কুলের। তখন রবিউল সর্দার ম্যানেজিং কমিটির কাছ থেকে জমিটি লীজ নিয়ে ভোগ দখল করে আসছিলো। বর্তমানে তিনি আবারো জাল দলিল করে তার আওতায় থাকা স্কুলের কাছ থেকে লীজ নেওয়া জমি নিজের মালিকানা দাবী করে জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।এই ভৃমীদস্যু নামে বেনামে স্কুলের জমি ছাড়াও অনেক জমি ভুয়া জাল কাগজপত্র বা দলিল করে গ্রামে আলোচিত হয়ে আছে।এব্যাপারে জমি জবর দখলদার রবিউল সর্দার(নবিন) এর সংগে আলাপকালে তিনি বলেন ক্রয় সূত্রে জমি দখল করেছে বলে জানায়।এ সময় তিনি কিছু ভূয়া কাগজপত্র দেখান।তিনি কৌশলে বলেন,উক্ত জমি ভূল বশত আর এস রেকর্ড এ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে শিক্ষা বিভাগের নামে হয়েছে।এতে কোন সমস্যা নেই, সব ঠিক করে নিব।সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি দম্ভোক্তি করে বলেন,আমার ক্ষমতা বলে আমি জমি দখল করে বসবাস করছি, আমার বিরুদ্ধে লিখে কোন লাভ হবেনা। এ বিষয়ে মানসা-বাহিরদিয়া ইউনিয়নের সরকারী ভূমী কর্মকর্তা গোলাম মোর্তজার সাথে আলাপকালে তিনি জানান,কাগজপত্র দেখে আমার কাছেও মনে হয়েছে রবিউল সরদারের কাগজপত্র সঠিক নয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমী) বলেন,কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে একটি আবেদন করেছে,তদন্তপূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাশ বলেন,বিষয়টি আমি শুনেছি ঘটনার সত্যতা পেলে কোন জালিয়াতি চক্র সহ ভূমী দস্যুদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা। সরেজমিনে তদন্ত করে স্কুলের জমি জবর-দখলকারী তেরাইল গ্রামের আব্দুল গনি গংদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
Leave a Reply