বাকেরগঞ্জে সব সরকারি দপ্তরকে ঘিরে দালাল চক্রের হাতে নানাভাবে প্রতারিত হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। অভিনব কায়দায় অসহায় মানুষের কাছ থেকে কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধে জড়িত দালালরা। কিছুদিন তাদের দেখা না গেলও আবারও বেড়েছে তাদের দৌরাত্ম্য। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলেও পুরোপুরি দালাল দমনে অসহায় কর্তৃপক্ষ। আবার সচেতন মহল দাবি করছেন দালাল বন্ধ করার আগে রাজনৈতিক দালাল ও অভ্যরণীয় যেসকল কর্মচারী নামীয় দালাল রয়েছে সেগুলোকে আগে বন্ধ করতে হবে। অভিযোগ রয়েছে, দালালচক্র সকাল-বিকেল সরকারি সকল অফিস গুলোর আশেপাশে ঘোরাঘুরি করে। সাধারণ মানুষ কোন সমস্যায় পড়লে তাদের কাজটি ভালভাবে করে দেয়ার কথা বলে অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে এখানকার দালালচক্র। নাম প্রকাশে ইচ্ছুক না বেশ কয়েকজন কর্মচারী জানান, প্রতিদিন দালাল চক্রদের অফিসের আশে-পাশে দেখা যায়। তার পরপরই চালিয়ে যায় তাদের দৈনন্দিন দালালি ধান্দা। তিনি আরো জানান, অফিসের কয়েকজন কর্মচারী রয়েছে তারা সরাসরি জড়িত না থাকলেও দালালদের সাথে যোগসূত্র করে কমিশন ভিত্তিক চুক্তিতে কাজ করে। কেউ কিছু না বলায় প্রকাশ্যে এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে দালাল চক্র। এছাড়াও কিছু রাজনৈতিক দালালরাও রয়েছে যারা সরকার দলীয় ও আওয়াী লীগের শীর্ষ পর্যায়ে নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে দালালি করছে এবং বিভিন্ন ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছি এসব দালালরা। কর্তৃপক্ষ দালালদের তালিকা প্রস্তুত করে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে দিলেও কোন কাজ হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ দালালের দৌরাত্ম বন্ধে নানা পদক্ষেপ নিলেও তারপরেও দালালদের তৎপরতা বন্ধ হয়নি বরং বেশিই হয়েছে। স্থানীয়রা জানান এই সকল দালালদের সাথে কিছু সরকারি অফিস স্টাফ রা জড়িত আছে,, তারা দরা ছোঁয়ার বাহিরে কাজ করে সরকারি অফিসের গুরুত্বপূর্ণস্থান গুলোর দেওয়ালে টাটানো হোক ”দালাল মুক্ত অফিস”, ”দালালদের ধরিয়ে দিন”, ”বহিরাগতদের উচ্ছেদ করুন” লেখা পোস্টার। সাধারণ মানুষ, সচেতন মহলসহ ভুক্তভোগীরা মনে করছেন কর্তৃপক্ষসহ পুলিশ-প্রশাসনের শুদ্ধি অভিযানে দালাল ও বহিরাগত মুক্ত করা সম্ভব।
Leave a Reply