বাকেরগঞ্জে চিকিৎসার কথা বলে অর্থ আত্নসাত করায় শীব শংকর দাস নামের এক ভন্ড সাধুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বরিশালের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন অপচিকিৎসার স্বীকার বিধবা খাদিজা বেগম। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলা নং-সিআর-১৭০/২০২১। এলাকা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামের মৃত সতিশ দাসের পুত্র শীব শংকর দাস। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন বখাটে ও নেশা করতেন। একসময় শীব শংকর দাস চুল বড় রেখে নিজেকে সাধু বলে পরিচয় দিয়ে এলাকায় চিকিৎসার নামে ভন্ডামী ও ফকিরালী ব্যবসা শুরু করেন। মানুষের জ্বীন-ভূত তাড়ানো, জাদুটানা, বানমারা, স্বামী-স্ত্রীর অমিল, প্রেম করিয়ে দেয়া এসব চিকিৎসার নামে প্রতারনা করে তিনি ভন্ডামি করে এলাকার মানুষের নিকট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। তার এমনই প্রতারণার শিকার হয়েছেন উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামের মৃত ফয়জর আলী সন্যামতের স্ত্রী খাদিজা বেগম। ভন্ড সাধু শীব শংকর দাস বদজ্বীন ছাড়ানোর নামে প্রতারনা করে তার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা আত্নসাত করেছেন। এ ঘটনায় তিনি বরিশাল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে ভন্ড সাধুর বিরুদ্ধে প্রতারনা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা সুত্রে জানা যায়, ভাতশালা গ্রামের মৃত ফয়জর আলীর স্ত্রী খাদিজা বেগম বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মাঝে মাঝে তার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ভন্ড সাধু শীব শংকর দাস এ বিষয় জেনে তার বাড়িতে গিয়ে বলেন বিধবা খাদিজাকে বদজ্বীনে ধরেছে। ভন্ডসাধু শীব শংকর বিধবা খাদিজার বদজ্বীন ছাড়ানোর জন্য তার নিকট নগদ ৩০ হাজার টাকা ও আগরবাতি, গোলাপজল, তাবিজের জন্য আরও ৫ হাজার টাকা দাবি করে বলেন কাউকে এ কথা বলা যাবেনা। অসহায় বিধবা খাদিজা তার কথায় রাজি হয়ে তাকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে নগদ ২৫ হাজার টাকা প্রদান করেন এবং ভালো হইলে বাকি ১০ হাজার টাকা দেয়ার আশ্বাস দেয়। ভন্ড সাধু উক্ত টাকা গ্রহন করে ছলচাতুরী করে ১৫ দিনের মধ্যে ভালো হবে বলে তাকে ফিকির দিয়ে যায়।এইভাবে ৩-৪ মাস কেটে গেলে সে ভালো না হওয়ায় তার পুত্র রানা সন্যামত বাড়িতে ডেকে ফিকিরের নামে দেয়া ২৫ হাজার টাকা ভন্ড সাধু শীব শংকরের নিকট ফেরত চাইলে তিনি লেনদেন ও ফিকিরের কথা অস্বীকার করেন। এসময় শীব শংকর দাস উত্তেজিত হয়ে বিধবা খাদিজাকে মারধর ও তার পরনের কাপড় টেনে শ্লীলতাহানী করে। বিধবা খাদিজা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানিয়ে অবশেষে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply