শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫১ অপরাহ্ন

বরগুনার তালতলীতে ৫টি দোকান ও মাদ্রাসা পুরে ছাই।

এম আরিফুল ইসলাম
  • আপডেট টাইম মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

বরগুনার আমতলীতে আগুন লেগে মাদ্রাসাসহ অন্তত ৫টি দোকান পুড়ে গেছে।গত রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার ২ নং কুকুয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পূর্ব কেওয়া বুনিয়া গ্রামের আকবারিয়া নূরা সালেহ নূরানী হাফেজী ক্যাডেট মাদ্রাসায় অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের টিম ও এলাকাবাসী মিলে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে পাঁচটি দোকান ও মাদ্রাসার তিনটি কক্ষ পুড়ে গেছে। এতে অন্তত ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে দোকানদার ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শামিম গাজির ইলেকট্রিক দোকানের বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের দোকানে ও আকবারিয়া নূরা সালেহ নূরানী হাফেজী মাদ্রাসায় ফোরকান প্যাদার মুদির দোকান, সামিম গাজীর ইলেকট্রনিক্স দোকান, নিজাম হাওলাদারের মুদির দোকান, কেশবশীলের সেলুনের দোকান , মাছুম ইলেকট্রনিক্স দোকান পুরে ছাই হয়ে যায়। আগুন লাগার খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান, বিশিষ্ট সমাজসেবক শিক্ষা অনুরাগী সগীর হাওলাদার, স্থানীয় রাজনীতিবিদ সমাজসেবক নুরজামাল হাওলাদার, ২নং কুকুয়া ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা মিরাজ হাওলাদার, ২ নং ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি তরুণ সমাজসেবক রাসেল সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার ফোরকান প্যাদা জানান, অসুস্থ শরীর নিযে় ছেলেমেযে়দের লেখাপড়া ও সংসার পরিচালনা করার জন্য একটি মুদি মনোহারী দোকান দিযে় জীবিকা অর্জন করে আসছিলাম, হঠাৎ মধ্যরাতে আগুন লেগে আমার দোকানের প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুডে় আমি নিঃস্ব হযে় গেছি। এখন আমি কি দিযে় ছেলে মেযে় লেখাপড়া ও সংসার পরিচালনা করব। ছাত্রদের মধ্য হতে ইসমাইল, কাউসার, রাকিব,ও বাইজিদ জানায়, মধ্যরাতে তাহাজ্জুদ পড়ার জন্য ঘুম ভেঙে গেলে জানলা দিযে় আগুন দেখতে পেলে সবাইকে জাগিযে় তুলি এবং নিরাপদ স্থানে চলে যাই ততক্ষণে আমাদের আসবাবপত্র সব পুডে় ছাই হযে় যায়। শিক্ষকরা জানান, হঠাৎ আগুন দেখে জীবনের ঝুঁকি নিযে় ছাত্রদেরকে নিরাপদ জায়গায় নিযে় যাই ততক্ষণে মাদ্রাসায় থাকা মালামা আসবাবপত্র, টেবিল চেয়ার, ফ্যান, ফ্রিজ, খাবার পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. আলতাফ হোসেন গাজী জানান, আমতলী উপজেলার ২নং কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেওয়াবুনিয়া গ্রামে ২০১৩ সালে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে আবাসিক অনাবাসিক মিলিযে় ১৫০জন ছাত্র ছাত্রী পড়ালেখা করছে। বর্তমানে আবাসিক ৬০ জন ছাত্র রযে়ছেন। কিন্তু এরই মধ্যে মাদ্রাসার ছাত্রের আসবাবপত্র, বইপুস্তক ও প্রয়োজনীয় মালামাল পুঁড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার সম্পদ পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে সোমবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। আমতলী দমকল বাহিনীর ষ্টেশন ম্যানেজার তামিম হাওলাদার বলেন, বৈদ্যুতিক সট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। এতে পাচঁটি দোকান ঘর এবং মাদ্রাসা পুড়ে গেছে। আমতলী ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্থদের যথাযথভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © Matrijagat TV
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
matv2425802581