পার্বত্য রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলাধীন ভুষনছড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসীন্দা হামিদা বেগম তার পাশ্ববর্তী শহীদ নামক একজন ব্যাক্তির ওপড় একাধিক অভিযোগ করে বিচার মিডিয়ার মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট বিচার প্রাথনা করেছেন। এ বিষয়ে হামিদা বেগম ওরফে নানী বুড়ি জানান,আমি পরিবার পরিকল্পনার অধিনে আয়া পদে চাকরি করতাম।বিগত দু বছর আগে তিনি বার্ধক্যজনিত কারনে চাকুরী থেকে অবসরে যান ।বর্তমানে তার স্বামী সন্তান কেউ নেই।হামিদা বেগমের একমাত্র মেয়েটিও চাকরীসুত্রে চট্টগ্রামে থাকেন।এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তার বাড়ির পার্শবর্তী প্রতিবেশী মো শহীদ তাহার জমি জোর করে দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আরো জানান,বিগত সময় শহীদ তার বাড়ি পাশে লাগানো আম নারিকেলসহ বিভীন্ন ফলজ গাছ ওষুদ ও গরম পানি ঢেলে মেরে ফেলেছেন।তাকে একাধিকবার মারধর করা হয়েছে যা বরকল থানাসহ অত্র এলাকার ইউপি মেম্বাররা অবগত আছেন বলে তিনি দাবি করেন। তার পরনের কাপড় এসিড দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছেন।এছাড়াও তার পেনশনের টাকা পাবার পর উক্ত ব্যাক্তি সেই টাকা থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাদা হিসেবে দাবী করেন, উক্ত টাকা না দিলে শহীদ তাকে প্রানে মেরে ফেলবেন বলে তিনি জানান।তিনি আরো বলেন,উক্ত বিষয়ে তাকে সহযোগীতা করছে সাবেক আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোতালেব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির যুগ্ন আহবায়ক দুলাল তালুকদার। তিনি উক্ত বিষয়গুলো,আমলে নিয়ে সুষ্ঠবিচার পাবার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। হামিদা বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী জানান,হামিদা বেগমের কোন সন্তান ও স্বামী না থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে শহীদ এসব কাজ করে যাচ্ছেন। সাবেক ৪,৫,৬ আসনের ইউপি সদস্যা বিউটি বেগম জানান,হামিদা বেগমের আনীত অভিযোগেগুলো সম্পুর্ন সত্য।এ বিষয়ে হামিদা বেগম তার কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন। তাছাড়া শহীদ ও মোতালেবের সাথে তারও জমি সংক্রান্ত বিরোধ আছে বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে শহীদ জানান,তিনি আদালতের মাধ্যমে উক্ত জমির দখল বুজে পেয়েছেন।যা অত্র এলাকার গন্যমান্য সবাই অবগত আছেন।অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।আমি এ জাতীয় মিথ্যা অভিযোগের জন্য উক্ত মহিলার বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিব।
Leave a Reply