আবারো ফেরি চালু হচ্ছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ ও বগুড়ার সারিয়াকান্দির ১৬ কিলোমিটার নৌপথে। এপথে ফেরি চালু হলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বগুড়ার সড়ক পথে দুরত্ব কমবে ৮০ কিলোমিটার। জামালপুরের সরিষাবাড়ি ও মাদারগঞ্জের মানুষের সারিয়াকান্দির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার একমাত্র পথ হলো নৌপথ। মাদারগঞ্জ-সারিয়াকান্দি নৌপথে ফেরি চালু হলে যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ লাগব হবে হাজারো মানুষের। জানা গেছে,যাত্রী, মালামাল ও হালকা যানবাহন পারাপারে প্রাথমিকভাবে এ নৌপথে বিআইডব্লিউটির কয়েকটি সি-ট্রাক চলাচল করবে। ফেরি চালুর জন্য ফেরিঘাট নির্মাণ, সড়ক যোগাযোগ স্থাপন, নাব্যতা ফেরাতে নদী খননসহ নদী সংস্কার ও উন্নয়নকাজে প্রকল্প গ্রহণের প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে একটি কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল সারিয়াকান্দি ও মাদারগঞ্জ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।একই সাথে জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়(আইডাব্লিউএম) এর দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল ফেরি চালুর সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা যাচাই করছেন। আইডব্লিউএমের পরামর্শক মোঃ মহিউদ্দীন পাটোয়ারি বলেন, রাজধানীর সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সড়ক যোগাযোগে দূরত্ব কমাতে বৃহত্তর ময়মনসিংহ হয়ে যমুনায় ফেরি সার্ভিস চালুর দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা চলছে। সরকার প্রথমে বাহাদুরাবাদ-গাইবান্ধার বালাসি নৌপথে ফেরি চালুর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলো। পরে সেই পরিকল্পনা আর এগোয়নি। এখন নতুন করে মাদারগঞ্জ-সারিয়াকান্দি ১৬ কিলোমিটার নৌপথে ফেরি চালুর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কারিগরি নানা দিক বিবেচনা করে সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে। এপথ চালু হলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বগুড়ার সড়ক পথে ৮০ কিলোমিটার দূরত্ব কমবে। সময় বাঁচবে কয়েক ঘণ্টা। শত বছরের স্বপ্নপুরনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাদারগঞ্জ-মেলান্দহ আসনের এমপি মির্জা আজম বলেন, মাদারগঞ্জ-সারিয়াকান্দি নৌপথে ফেরি চালু করতে উচ্চ পর্যায়ের সরকারি দল নদী পথ পরিদর্শন করে সম্ভাব্যতা যাচাই বাছাই করছেন।এবার বর্ষা মৌসুমে এ পথ চালু হবে। এতে জামালপুরসহ পূর্বাঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রীদের পারাপারে সুবিধা হবে। দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবে ঢাকা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, ফুলপুর, মুক্তাগাছা, শেরপুর, জামালপুরের সঙ্গে যোগাযোগকারী পশ্চিম-উত্তরাঞ্চলের যাত্রীরা। এদিকে নৌপথে ফেরি চালুর খবরে এপথে যাতায়াতকারী যাত্রীদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে।
Leave a Reply