কৃষিজমিতে তৈরি হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহত ”শস্য চিত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র বিশাল ছবি, যা এই মহা বিশ্বে একজন মানুষের ছবি এভাবে তৈরি হয়নি। যেটা হচ্ছে বাংলাদেশে এই প্রথম। যেটা কয়েক মাসের ব্যাবধানে স্থান পেতে যাচ্ছে গিনেস বুক ওয়াল্ড এ। ”শস্য চিত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু,,চারা রোপনের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে গত ২৯ জানুয়ারি। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বালেন্দা গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে লিজ নেওয়া ১০৫ বিঘা জমির কাদা মাটিতে তৈরি হচ্ছে বিশাল একজন মানুষের ছবি। ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ারের তত্বাবধানে এই মুরালটির শস্য চিত্রে রোপা রোপন শেষ হয়ে গেছে । সুধু তাই নয়, ”শস্য চিত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, কাদা মাটিতে ধানের চারা রোপনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নামও লেখা শেষ করেছে। এর পাশাপাশি যারা এই কারুকার্যের রুপকার ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ারে(এন,এ,সি) এনামটাও লিখে এই বিক্ষাত কাজের সমাপ্তি ঘটিয়েছে। গতকাল দুপুরে সরেজমিন যাওয়া হলে দেখা যায় তাদের রোপা রোপনেরে সার্বিক চিত্র। এই এলাকার আদিবাসী কৃষি শ্রমিকদের গায়ে সাদা ইউনিফ্রম টি,সার্ট পরে আনন্দের সাথে ”শস্য চিত্রে বঙ্গবন্ধুর মুরালের রোপা চারা রোপন করেছে তারা। এমনটি জানালেন কৃষি শ্রমিক সর্দার শ্রী ধিরেন মাহাতো, শ্রমিক গীতা রানী, সবিতা রানী সহ অনেকে। এসময় তারা এ প্রতিবেদককে জানান, আমরা খুব আনন্দিত যে আমাদের হাতে তৈরি হচ্ছে বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। সরকার যেন আমাদের মানবজীবনের দিকে খেয়াল রাখেন। এই এলাকার অব: প্রবীন শিক্ষক আবুল হোসেন জনান, আমাদের এলাকার মাটিতে বঙ্গবন্ধুর মতো এমন একজন দেশ নায়কের ছবি তৈরি হচ্ছে আমরা অনেক গর্বিত। এভাবে দেশের প্রতিটি জেলায় এমন মুরাল তৈরি হোক এই প্রত্যাশা করছি। আওয়ামীলীগ নেতা আতিকুর রহমান জানান, এই মাটিতে বঙ্গবন্ধুর যে মুরালটি তৈরি হতে যাচ্ছে, কোন অপশক্তি যেন তা বিতর্কিত না করতে পারে সেটা আমরা দেখভাল করছি। অপরদিকে ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সভাপতি আবুল কালাম আজাদ জানান, গত২৯ জানুয়ারী এই বিশাল কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে বর্তমান সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা, কেন্দ্রীয়, জেলা উপজেলা সহ অসংখ্য স্থানীয় গন্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর মুরাল নির্মাানের পাশাপাশি এই এলাকায় একটি শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আরও উন্নয়ন করার দাবি জানাচ্ছি। এদিকে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ারের মহাপরিচালক আসাদুজ্জামান জানান, বিশ্বে এই প্রথম ১০৫ বিঘা জমিতে চারা রোপনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর এই মুরালটি নির্মান করা হচ্ছে। আমরা আসা করছি আগামী কিছু দিনের মধ্যে আকাশে ড্রন ক্যামেরায় ধারন করা হবে এই ছবিটি। প্রকল্প প্রধান আশিক এ ইলাহি অনি জানান, এই প্রকল্পে আমরা অনেক গর্বীত যে চারা রোপনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি নির্মানে সফল হয়েছি।
Leave a Reply