ফুলছড়ির এরন্ডবাড়ী চরে ভুট্রাক্ষেত থেকে গত ২০ ডিসেম্বর পুলিশের উদ্ধার করা যুবতীর লাশ সাঘাটা উপজেলার বাউলিয়া (মথরপাড়া) গ্রামের রেজাউল করিমের নিখোঁজ হওয়া মেয়ে স্কুল ছাত্রী কুকুলী আক্তার (১৫) এর বলে দাবি করছেন কুকুলীর পরিবার। নিখোঁজ হওয়ার দীর্ঘ তিন মাস পর অবশেষে গতবুধবার কুকুলীর পিতা-মাতা তাদের মেয়ে উদ্ধারের জন্য গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কাছে গেলে সেখানে পুলিশের উদ্ধার করা যুবতীর লাশের ছবি দেখানো হলে লাশটি তাদের মেয়ের বলে দাবি করেন কুকুলীর পরিবার। সাঘাটা থানার জিডি এবং কুকুলীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, রেজাউল করিম কালুর মেয়ে এবং উপজেলার মথরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী কুকুলী আক্তার (১৫) । গত বছর ২৫ নভেম্বর সকাল অনুমান সাড়ে ১০ ঘটিকার সময় কুকুলী আক্তার নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটার জন্য গ্রামের পার্শ্ববর্তী বটতলা বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। বিভিন্ন স্থানে মেয়েকে খোজা খোঁজি করে না পেয়ে পরদিন ২৬ নভেম্বর কুকুলীর মা রশিদা বেগম সাঘাটা থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরী করেন। যার ডায়েরী নং ১০০১ । থানায় ডায়েরী করার পর কুকুলীর মা রশিদা তার মেয়ের সন্ধান পেতে দফায় দফায় সাঘাটা থানায় গিয়ে কাকুতি-মিনতি করেও মেয়ের সন্ধান পাননি। দীর্ঘ তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পর অবশেষে চলতি মাসের গত ২৪ শে ফেব্রুয়ারী বুধবার নিখোঁজ কুকুলীর পিতা-মাতা গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কাছে যান । সেখানে বিষয়টি পুলিশ সুপারকে অবগত করলে পুলিশ সুপার তাদেরকে গত বছর ২০ ডিসেম্বর ফুলছড়ি উপজেলার এরন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের হরিচন্ডি গ্রামের আন্ডারচর এলাকার একটি ভুট্রার ক্ষেত থেকে পুলিশের উদ্ধার করা অজ্ঞাত যুবতীর লাশের ছবি দেখালে লাশের ছবিটি তাদের মেয়ের বলে দাবি করে তারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এব্যাপারে ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ কাওছার আলীর সাথে কথা হলে তিনি যুবতীর লাশ উদ্ধারের কথা স্বীকার করে বলেন, লাশটি সাঘাটার নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী কুকুলীর কি না, তা ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে সনাক্ত করে হত্যার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে। # ২৫-০২-২০২১ইং
Leave a Reply