করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন ধরনের সচেতনামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন নানামুখী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এই কর্মসূচি প্রথমটি হচ্ছে মানুষকে গন জমায়েত এড়িয়ে চলতে উদ্বুদ্ধ করা ।
মানুষ মানুষের থেকে ন্যূনতম তিন ফিট দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করা।গণজমায়েত যাতে না হয় সেজন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ছাড়া সকল প্রকার দোকান বন্ধ রাখা। এ ব্যাপারে দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সরকারের নির্দেশনা পাওয়ার সাথে সাথে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও মাইকিং শুরু করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে! কে শোনে কার কথা? মনে হচ্ছে উপজেলার প্রতিটি মানুষ প্রশাসনের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে। প্রশাসনের টহল টিম বাজারে গেলে এক পাশ থেকে দোকান বন্ধ করে চলে যাচ্ছে আর এক পাশ থেকে খুলে রীতিমত ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ চিত্র উপজেলার প্রতিটা বাজারে। যে কারণেই কোন রকমেই গণজমায়েতে কমাতে পারছে না উপজেলা প্রশাসন। এমন বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে গেলে দেখা যায়, এ সারিতে আছে, আল্লারদর্গা বাজার, তারাগুনিয়া বাজার, হোসেনাবাদ বাজার, মথুরাপুর বড় বাজার ও স্কুল বাজার, প্রাগপুর বাজার, ডাংমড়কা বাজার, আদাবাড়িয়া বাজার, নাটনাপাড়া গোয়াল গ্রাম বাজার, রিফাইতপুর বাজার, ঝাউদিয়া বাজার। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে, দুঃখ প্রকাশ করে বলেন আমরা মানুষকে সচেতন করতে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়েছি।কিন্তু মনে হচ্ছে যে মানুষ আমাদের সাথে চোর পুলিশের মত লুকোচুরি খেলছে। আমরা টহলে গেলে সঙ্গে সঙ্গে দোকান পাট বন্ধ করছে এবং চলে আসার সাথে সাথে আবার আগের মত তারা ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে গণজমায়েত সৃষ্টি করছে। এছাড়াও বিকেল হলে মানুষ জন রাস্তাঘাট এমনভাবে ঘুরছে মনে হচ্ছে আগামীকাল হয়তোবা ঈদ হবে, এত প্রচার-প্রচারণার পরেও মানুষকে বোঝাতে পারছিনা করোনা ভাইরাস মারাত্মক একটি প্রাণঘাতী ভাইরাস,তারা করোনা ভাইরাস কে ভয় করছে না আমাদের সাথে লুকোচুরি খেলছে। আমরা আর কতটা পরিশ্রম করলে মানুষকে সচেতন করতে পারবো বুঝে উঠতে পারছিনা।
Leave a Reply