পার্বত্য চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশী সুফল ভোগ করছে পাহাড়ী জন গোষ্ঠী । শিক্ষা, সরকারী চাকুরি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, এনজিওসহ সকল ক্ষেত্রে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জনসংখ্যার অনুপাতে সুযোগ সুবিধা পাওয়ার কথা থাকলেও সকল সুযোগ সুবিধা একচ্ছত্রভাবে ভোগ করে যাচ্ছে পাহাড়ি সম্প্রদায়। ১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর হতে অদ্যাবধি আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের পদটি দখলে রেখে সকল সুযোগ সুবিধা পাহাড়ী সম্প্রদায়কে ভোগ করাচ্ছেন তাদের নেতা জনাব সন্তু লারমা। তাইতো তিনি পাহাড়ের জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠতে পারেন নাই। হয়েছেন পাহাড়ী সন্ত্রাসীর নেতা। পদ হারানোর ভয়ে বিভিন্ন কৌশলে ভোটার তালিকার অজুহাত দেখিয়ে যুগের পর যুগ আঞ্চলিক পরিষদের নিবার্চনকে স্থগিত করে রেখেছেন। তিন জেলার বড় বড় সব পদে পাহাড়ি সম্প্রদায়। তার ইন্ধনে চলছে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক কাজ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছে অনেক সম্প্রদায়ের যোগ্য মানুষ। ক্ষমতায় থাকায় অবাধে স্বজাতিরা অপকর্ম করে জনসম্মুখে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। বলা ও দেখার যেন কেহ নেই। যদি এ ক্ষেত্রে ভিন্ন মতের বা জাতের কেহ হতো তাদের অপকর্মের কথা সহজেই তুলে ধরতো। এত সব পাওয়ার পর ও তারা রাষ্ট্রের ও সরকারের বিরোধিতা করে প্রতিনিয়ত। পাহাড়ে বর্তমান চলমান সন্ত্রাসের মূল চালিকা শক্তি নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়। মাসিক ৩০ – ৪০ কোটি টাকার এক বিশাল বাণিজ্য যার যোগানদার মার্মা, ত্রিপুরাসহ ১২টি সম্প্রদায় আর ভোগকারী চতুর সন্ত্রাসী গডফাদাররা। সশস্ত্র গ্রুপ, চাঁদা আদায়সহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে অন্যান্য সম্প্রদায়ের সন্তানদের ব্যবহার করা হয়। আর সেই টাকায় পাহাড়ে নেতাদের ছেলেরা দেশে বিদেশে ডাক্তারী, ইঞ্জিনিয়ারিং আর ব্যারিস্টারি পড়ে। অন্যান্য সম্প্রদায় দিন কে দিন এভাবেই আরো পিছিয়ে পড়ছে। সময় এসেছে পাহাড়ের সকল জনগোষ্ঠীর সচেতন হওয়ার। সকলের সচেতনতায়, ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাহাড়ের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতির লক্ষ্যে পাহাড়ের ঘাড়ে চেপে বসা এ সমস্ত ভূত ঝেড়ে ফেলতে হবে, গড়ে তুলতে হবে এমন এক নতুন ব্যবস্থা যেখানে সকল সম্প্রদায় শিক্ষা, উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবাসহ সমস্ত ক্ষেত্রে পাবে সমান সুযোগ-সুবিধা।
Leave a Reply