পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম মান্দারবন গ্রামের(হাওলাদার বাড়িতে) গড়ে উঠেছে বৃহত্তর সোয়া মাশরুম ফার্ম। উল্লেখ্য এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের মাশরুম ফার্মের মধ্যে বৃহত্তম একটি মাশরুম ফার্ম। গুনগত মানের দিক থেকে এই মাশরুম অন্য খাদ্যের তুলনায় মানবদেহে বেশি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বর্তমানে মাশরুম খাদ্যসহ বিভিন্ন ঔষধ তৈরির কাজেও ব্যবহার হয়ে থাকে। আমাদের দেশে মাশরুমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে কিন্তু চাহিদা তুলনায় মাশরুম চাষ হয়না বললেই চলে। মাশরুম উদ্যোক্তা রেজাউল করিম সোহাগ এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি রিপোর্টারকে বলেন, আমি একটি ঔষধ কোম্পানীতে চাকুরী করতাম, করোনার মধ্যে যখন আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায় তখন আমি চিন্তা করলাম বেকার থেকে লাভ কি! তাছাড়া আমার আগে থেকেই সখ ছিল মাশরুমের প্রতি। তাই সময় নিয়ে মাশরুম চাষ প্রশিক্ষণের জন্য মাগুরা মাশরুম প্রশিক্ষন ইনিস্টিউটে ট্রেনিং নেই। পরবর্তীতে গ্রামে এসে পর্যাক্রমে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থা থেকে অর্থ ঋন নিয়ে সোয়া মাশরুম ফার্ম তৈরি করি এবং বেশ কিছু শ্রমিক নিয়ে কাজ শুরু করি। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটি “সোয়া মাশরুম ফার্ম” নামে পরিচিত লাভ করেছেন। উদ্যাক্তা রেজাউল করিম সোহাগ মাশরুম সম্পর্কে আরো বলেন, মাশরুম চাষে কোনরুপ ফর্মালিন দরকার হয় না, সম্পূর্ণ ফর্মালিন মুক্ত। এটি ব্যবহারে মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ যেমন বাড়ে তেমনি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে, রক্তহীনতা, হৃদরোগ, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখে, আমাশয় নিরাময়ে মাশরুম খুব ভালো কাজ করে, মাশরুমে এডিনোসিন থাকায় ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধ করে, বয়সের ছাপ কমানো সহ শরীরের বিভিন্ন রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মাশরুম খেলে হাইপার টেনশন দূর হয়। মাশরুমের গুরা দিয়ে স্যুপ ও চায়ের সাথে বেশ উপযোগী। এছাড়াও মাশরুমের স্যুপ, আচার, শুকনো ও তাজা মাশরুম বেশ স্বাস্থ্যকর। আপাতত মাশরুম সম্পূর্ণ রুপে বাজারজাত শুরু হয়নি।
Leave a Reply