আজকে মহান মে দিবস।এ দিবস টি ১ মে পালন করা হয়। শ্রমিক ও মেহনতী মানুষদের কাছে এই দিনটি খুবই গুরুত্ব বহন করে। এই দিনে শ্রমিক যোদ্ধাদের অধিকার আদায়ে এইদিনটি বড় ভূমিকা রেখেছিল।
দেশের সর্ব্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের একটি বড় অংশ হলো শ্রমিক সমাজ। যাদের একদিন কাজে বের না হলে চুলায় ভাতের হাঁড়ি বসে না সে সব খেটে খাওয়া শ্রমিকদের জীবন কাটছে আজ অনাহারে। করোনার কারণে আজ তাদের কাজ বন্ধ রয়েছে। এসব খেটে খাওয়া শ্রমিকদের পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবন কাটছে মানবেতর জীবন ।
জেলা প্রশাসন গত ২৪ মার্চ করোনার প্রকোপ রোধে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল হাট-বাজার, দোকান-পাট, গণপরিবহন, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ সহ সাধারণ মানুষকে বাইরে বের না হয়ে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করছে। এতে কাজ করতে না পারায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে জেলার কর্মজীবী মানুষেরা । সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে দিন এনে দিন খাওয়া ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। পঞ্চগড়ের একটি বড় অংশ পাথরের শ্রমিক ও দিনমজুর । এসব পাথর শ্রমিক ও দিনমজুররা কাজ করতে না পারায় পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন রাত্রি যাপন করছে । তাদের অভিযোগ তাদের কেউ কোনো খোঁজ খবর রাখছে না ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে পাথর শ্রমিকরা কাজ করতে না পাড়ায় অলস সময় পার করছে আবার কেউ কেউ ত্রাণের সন্ধ্যানে বিভিন্ন এলাকায় ছুটে বেড়াচ্ছে ।
এ বিষয়ে কথা হয় তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের নিজবাড়ি এলাকার নারী পাথর শ্রমিক হাজেরা খাতুনের সাথে, তিনি জানান, পাথর তোলা বন্ধ তারপরও কোনো রকম কাজ করে দিন চলে যাচ্ছিল কিন্তু করোনার কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছি । আমরা কোনো সহায়তা পাচ্ছি না কেউ আমাদের পাথর শ্রমিকদের কিছু দিচ্ছে না এভাবে না খেয়ে কত দিন চলবো । আমরা সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি ।
একই কথা জানান বুড়াবুড়ি এলাকার পাথর শ্রমিক হাসিবুল ইসলাম, তিনি জানান, হামরা কাজোত যাবা পারি না মহাজন কাজ বন্ধ করে দিছে। সরকার হামাক বাড়িত রহিবা কহিচে তাতে ৩৫ দিন ধরে কাজ না করে বসে আছি । ঘরে যা চাল ছিল তাও কয়েক দিন ছেলে মেয়ে নিয়ে খোল এখনতো আর কোন উপায় নাই । মেম্বার চেয়ারম্যান অনেক মানুষকে কত কিছু দেছে হামরা ভাল নাই, কাহো হামার খবর নেয় না এবং কিছুই দেয় না হামরা কি করিমো এলা।
এ বিষয়ে বাংলাবান্ধা কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আকতারুল ইসলাম জানান, আমরা শ্রমিকরা কাজ না করলে জীবন চলে না । করোনার কারণে হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে আমরা সরকারের কাছে বেঁচে থাকার জন্য একটু সহযোগিতা চাই
Leave a Reply