জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘কাঁচা চা পাতা মূল্য নির্ধারণ’ বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চা কারখানা মালিক, চা চাষী ও চা বোর্ডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় নির্ধারিত মূল্যের কমে চা পাতা কেনা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড় অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালে পঞ্চগড়ে চা চাষ শুরু হয়। পঞ্চগড় জেলায় বর্তমানে ৭ হাজার ৫৯৮ একর জমিতে চায়ের আবাদ হয়েছে। গত মৌসুমে পঞ্চগড় জেলায় ৯২ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৫ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। প্রতিবছর চা চাষ বাড়ছে। জেলায় নিবন্ধিত বড় চা-বাগান ৮টি ও অনিবন্ধিত বড় চা-বাগান ১৮টি। ছোট চা-বাগান ৮৯১টি, অনিবন্ধিত পাঁচ হাজার ১৮ শত চা বাগান রয়েছে। চা প্রক্রিয়াজাতের জন্য কারখানা চালু রয়েছে ১৮টি। স্থানীয়ভাবে তেঁতুলিয়ায় আরও একটি কারখানার কাজ চলছে।
সময়ের হাত ধরে চা চাষে ঝুকছেন চাষিরা কিন্তু বিগত কয়েক বছরে কারখানা মালিকরা সিন্ডিকেট করে চাষিদের উৎপাদিত পাতার নায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত করেছেন। বিগত বছর গুলো সভা সমাবেশ করেও লাভের মুখ দেখতে পাননি চাষিরা। নির্ধারিত মূল্যতো দেয়নি এমন কি নানান অজুহাতে ওজনেও ১৫ থেকে ৭০ শতাংশ কর্তন করা হয়েছে। পঞ্চগড়ের চা শিল্পকে বাঁচাতে এবার স্থানীয় সংশ্লিষ্টরা আন্তরিক হবে এমনটাই প্রত্যাশা করছে সাধারণ চাষিসহ জেলাবাসী।
সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, বাংলাদেশ স্মল টি গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এবিএম আকতারুজ্জামান শাহজাহান, কারখানা মালিক মোশাররফ হোসেন, শাহ আলম ভূইয়া, চা বোর্ডের প্রতিনিধি উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামীম আল মামুন প্রমুখ। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায় উক্ত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পৌর মেয়র তৌহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম।
Leave a Reply