ইব্রাহিম খলিল, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:-
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নের চর বৈশাখী গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দু’পক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১৪ই জুন) দুপুরে এঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মো. মামুন নামে একজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রোববার দুপুর ১২টার সময় ১ম পক্ষ মো. সেলিম উদ্দিন (ভান্ডারী) ২য় পক্ষ মাও. মো. মুহিব উল্যাহর পুর্ব থেকে বিরোধকৃত জমির উপর সীমানা প্রাচীর স্থাপনের চেষ্টা করে । এসময় মাও, মুহিব উল্যাহর মেঝ ছেলে প্রবাসী মো. মামুন সেলিম ভান্ডারীকে বাঁধা দেন। এবং সামাজিক ভাবে বিরোধ নিষ্পত্তি করে সীমানা নির্ধারনে অনুরোধ করলে সেলিম ভান্ডারী পুর্ব পরিকল্পিত দেশীয় অস্র( দা,খন্তি,কুডাল) নিয়ে মাও. মুহিব উল্যাহর বাড়িতে এবং প্রবাসী মো মামুনের উপর হামলা করে ।
এতে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির সময় সেলিম ভান্ডারীর বড় ভাই স্থানীয় সাবেক মহিলা মেম্বারের স্বামী ভুমিদুস্য আলাউদ্দিন ওরফে কালু বাহিনী মাও. মুহিব উল্যার মেঝ ছেলে মো. মামুনকে দেশীয় অস্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। এসময় দুপক্ষের সংঘর্ষে আরো আহত হন মাও. মুহিব উল্যাহ, আলাউদ্দিন কালু বাহিনী, অজ্ঞাত আরো একজন।
এঘটনায় মাও. মুহিব উল্যাহর ছেলে মোহাম্মদ রহমত উল্যাহ জানান, সেলিম ভান্ডারী ও কালু বাহিনীর সাথে তাদের একাধিকবার বিরোধের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়ভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করলেও কালুবাহিনী কারো তোয়াক্কা করেননি।
এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসীরা এঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছেন কালু বাহিনীর সাথে এলাকার কারো সাথে ভালো সম্পর্ক নেই। ভুমিদুস্য হিসেবে কালুর সাথে এলাকার একাধিক লোকের ভুমির বিরোধের কথাও জানান তারা। অন্যদিকে অভিযুক্ত আলাউদ্দিন কালুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি চিকিৎসাধীন থাকার খবর পাওয়া গেছে । এসময় তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটির সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে চরজব্বার থানার এসআই মো. সাদেক জানান,মাও. মুহিব উল্যাহর পক্ষ থেকে (৯৯৯) অভিযোগ পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করি। এঘটনায় আহদের চিকিৎসা দেয়ার ব্যাপারে সহযোগীতা করি। পরে এবিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা করবো।
Leave a Reply