সম্প্রতিক সময়ে জনসাধারণের মাঝে একদিকে যেমন করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক বিরাজ করে চলছে অপর দিকে এটাকে পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়িরা ফায়দা লোটার ধান্দায় নানান কলাকৌশল অবলম্বন করে জনসাধারণ কে ঠকিয়ে চলেছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ হতে দ্রব্য মূল্য স্থিতিশীল রাখতে কঠোর অবস্থানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে এটা ঠিক, প্রতিদিনই সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন ছোট বড় বাজারগুলোতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশের উপস্থিতিতে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
এমনকি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান স্বয়ং বড় বাজারে অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। অভিযানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেশি রাখায় জরিমানা ও করে চলেছেন কিন্তু তার পর ও বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে? ২৩ মার্চ-২০২০ সোমবার ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের কথা উল্লেখ করেছেন জেলা প্রশাসক।
কিন্তু তারপরও কিছু অতি লোভী ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে বহাল তবিয়তে উচ্চ মূল্যে পণ্য বিক্রয় করে যাচ্ছে। সাতক্ষীরা বড় বাজার ঘুরে জানা গেছে, গত কয়েকদিন পূর্বে আলুর কেজি ছিলো ১০ থেকে ১২টাকা, পেঁয়াজ ছিলো ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, রসুন ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। অথচ করোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে এক লাফেই ১২ টাকা কেজি দরের আলু ২০ টাকা, ৪০ টাকার পেঁয়াজ ৫০ টাকা, রসুন ৬০টাকা, চাল ভেদে বস্তা প্রতি তিন থেকে পাঁচশত টাকা বিক্রয় শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে যদিও প্রায় প্রতিদিনই চলছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ভ্রাম্যমান আদালতের বাজার থেকে চলে আসার পর পরই আবারো উচ্চ মূল্যে পন্য বিক্রয় শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার বড় বাজারে আসা কয়েকজন জানান, প্রশাসনের এ অভিযানের সুফল জনগণ পাচ্ছে সাময়িক ভাবে, পুরোপুরি বা স্থায়ী হচ্ছে না দ্রব্য মূলের নিয়ন্ত্রণ? কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন প্রশাসন বাজারের এক মাথায় যখন অভিযান শুরু তখন সেখানেই সাময়িক সময়েরর জন্য একটু নায্যমূলে কিছু কিন্তে পাওয়া যায়, কিন্তু অভিযান টিম একটু সরে গেলেই ব্যবসায়িরা পুনরাই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।
আবার দেখা যায় অভিযানে আসছে এমন খবর পেয়ে দ্রুত ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে প্রস্থান করেন, আবার অনেকে কম্পিউটার থেকে ভূয়া চালান ও মেমো তৈরি রেখেছেন। সেখানে উচ্চ মূল্যে ক্রয় দেখিয়ে আদালতের চোখ ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দামে ক্রয় করার কারণে বেশি দামে বিক্রয় করতে হচ্ছে। এছাড়াও ভাইরাসের কারণে সাতক্ষীরা লকডাউন হতে পারে এমন খবরে অনেক ক্রেতারা বেশি বেশি পণ্য ক্রয়ের কারণে বাজারে মালামাল পর্যাপ্ত না থাকায় দাম বেড়েছে বলে দাবি করেছে। আজ মঙ্গলবার থেকে সব কিছু নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মাঠে নামছে সাধারণ খেটে খাওয়া জনসাধারণ আশা করছে তারা নায্যমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী ক্রয় করতে পারবে।
Leave a Reply