নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় অনুমান ২৬টি ইট ভাটা গড়ে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে শতশত বিঘা ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে এবং ভাটার আগুনে পুড়ছে উর্বর মাটি। এতে আবাদি জমি কমার পাশাপাশি ধ্বংস হচ্ছে জীব-বৈচিত্র্য, পরিবেশ এবং হুমকিতে পড়ছে জনস্বাস্থ্য।
উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধলিয়া গারুয়া, এলাকা, জাহাঙ্গীর পুর, গ্রামে, কালিগঞ্জ নান্দাইল সদর সহ প্রায় ২৬ ইটের ভাটা গড়ে তোলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জনবসতি থেকে কমপক্ষে এক কিলোমিটার দূরে ইটভাটা তৈরি করার কথা এবং সেটা হতে হবে অবশ্যই ফসলি জমি বাদে পতিত জমিতে। কিন্তু অধিক মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা প্রায় সবগুলো ভাটাই ফসলি জমিতে গড়ে তুলেছেন। এতে উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে ফসলি জমি কমে যাওয়ায় বাড়ছে উৎপাদন ঘাটতি ও পরিবেশ দূষণ।
উপজেলার অনেক কৃষকের অভিযোগ করেন, ইট ভাটার জন্য এ উপজেলার প্রায় ২০০ বিঘা ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ইটভাটার মালিক মতিউর রহমান কাছে জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করে বলেন। ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি নান্দাইল পৌর মেযর রফিক উদ্দিন ভূইয়া আমাদের কাছ থেকে প্রতি বছর ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আদায় করে নেন সে সবকিছু ম্যানেজমেন্ট করবেন।
এখান কার প্রতিটি ইট ভাটায় গড়ে ১৫ থেকে ১০ লাখ ইট তৈরি করতে প্রায় ছয় কোটি ঘুন ৮- ৭-ফুট মাটি ও বালু বব্যহার করা হয়। আর ওই মাটির সিংহভাগই ফসলি জমির
উপরিভাগ থেকে কেটে নেওয়া হয়।
তাই সচেতন মহলের দাবি, ফসলি জমিতে ইট ভাটা তৈরি বন্ধ বা অভিযুক্তদের আইনের আওতায় না এনে, এভাবে চলতে থাকলে, ভবিষ্যতে উপজেলার নান্দাইল কোনও জমিতে ফসল উৎপাদন তো দূরের কথা এ অঞ্চল বিরন ভূমিতে পরিণত হবে।
ইট ভাটার মালিকদের কাছে কথা বলে জানা যায়, ফসলি জমির মাটি নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা কৃষকদের কাজ থেকে উঁচু (টেক) জায়গা এবং ফিসারি থেকে মাটি কিনে ইট তৈরি করি।’
উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ রফিক উদ্দিন ভূইয়া বলেন, জমির উপরিভাগের মাটি কেটে ইট তৈরির কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘পুকুরের মাটি দিয়ে ইট তৈরি করা হয়।’এবং চ্যানেল সিক্স বাংলা ময়মনসিংহ প্রতিনিধিকে অারো বলেন, আপনারা নিউজ করে যা করতে পারেন করেন।
কৃষিতে ইটভাটার প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসারের সাথে কথা বলে
Leave a Reply