ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষীপুর,হাজির হাটি,গৌরনগর, সাতঘরহাটি ও থানাকান্দি গ্রামে আবারও দুই গ্রুপের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
এলাকায় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও কাউছার মোল্লা গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই হামলা-মামলার কারনে সাধারণ মানুষ আতংকে ও অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছে।
সোমবার(১০/২) রাতে আবারও বাইশমৌজা গরুর বাজারের আধিপত্য নিয়ে হাজির হাটি গ্রামে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান গ্রুপের আবু মেম্বারের লোকজন ওই গ্রুপের সমনার বাড়িতে হামলা চালালে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ৩০টি ঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এসময় তিন পুলিশ সহ ১০ জন আহত হয়।
ঘটনাস্থল থেকে ১৯জনকে আটক করা হয়।এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে উভয়পক্ষের ১৯জন নামীয় ও অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে নবীনগর থানায় মামলা রুজু করে। পূলিশ আটক ১৯ জনকে মঙ্গলবার সকালে জেলা আদালতে সোপর্দ করে।এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কাউছার মোল্লা বলেন, সোমবার রাতে চেয়ারম্যান জিল্লুর লোকজন মোসলেম মেম্বারের গোষ্ঠীর বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে,আজকেও বাইশমৌজা বাজার থেকে আসার সময়ে দুই জনকে মেরে গুরুতর জখম করেছে, চেয়ারম্যান এলাকার শান্তি চায় না। ঘটনার সাথে সাথে আমি পুলিশকে জানিয়েছি।
চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান বলেন, পার্শ্ববর্তী এক চেয়ারম্যানের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কাউছার মোল্লার লোকজনের সাথে মিলে বোমা মেরে ও অগ্নিসংযোগ করে সোমবার রাতে যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা দুঃখজনক। তারা এলাকা অস্থিরতা সৃষ্টি করে রাখতে চায়। ওসি রনোজিত রায় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ২৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং ঘটনাস্থল থেকে ১৯জনকে আটক করে। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা রুজু করেছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়ে
Leave a Reply