ঢাকার নবাবগঞ্জে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ পরিচয় দিয়ে ডাকাতরা ঘরে ঢুকে পরিবারের লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বণাংলঙ্কার লুটে নেন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারী উপজেলার সাদাপুর গ্রামের মো. মাসুদের বাড়িতে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় মাসুদ বাদী হয়ে ১লা মার্চ নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। আটককৃত দুজন হলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলার হযরতপুর গ্রামের ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে জনি ভূঁইয়া(২৪) ও উপজেলার সমসাবাদের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রুবেল(৩০)। ভুক্তাভোগী মাসুদ জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে ৯টার দিকে ৬/৭ জন ডাকাত পুলিশ পরিচয়ে প্রথমে আমার বসতঘরে প্রবেশ করে। এরপর তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার স্ত্রী ও ছেলেকে জিম্মি করে ড্রয়ারে থাকা নগদ ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ও স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল লুট করে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে জনি ও রুবেল নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। আমি বিদেশ যাওয়ার জন্য এনজিও থেকে টাকাগুলো কিস্তি উঠিয়েছিলাম। এখন আমি এনজিওর কিস্তির টাকা কি ভাবে দিবো। দুইজন আসামী ধরা পরলেও বাকিরা পলাতক থাকায় আমি খুব চিন্তায় আছি। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে পরেরদিন হযরতপুর গ্রামের ইসলাম ভুইয়ার ছেলে জনি ভূইয়া ওরফে রনি (২৪), সমসাবাদের দেলোয়ার হোসেন ছেলে সাজ্জাদ হোসেন ওরফে রুবেল (৩০), খন্দকারহাটির জাকির হোসেনের ছেলে ফয়সাল তালুকদার (২০), আলহাদীপুর গ্রামের মো. হাসানের ছেলে মো. রাহাত (২০) সহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের নামে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছি। নবাবগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, এঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। পলাতক আসামীদেরও ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
Leave a Reply