বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ ৷ পাক হানাদার বাহিনীদের থেকে রক্ষার জন্য এ দেশের মানুষ যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে ৷ শুধু একটি মাত্র কারন মায়ের ভাষা রক্ষা করা ৷ তখন অনেক মা বোন ইজ্জত দিয়েছে ৷ বর্তমানে এ দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও মা বোনদের ইজ্জত রক্ষা করা যাচ্ছে না ৷ এদেশ কে তুলনা করা হয় মায়ের সাথে। যার জন্যে আমরা এ দেশকে মা বলে সম্বোধন করি। অথচ এই মায়ের দেশে আমার মা বোনেরা তো নিরাপদ থাকতে পারেন না এমনকি ছোট্ট অবুঝ শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধা পর্যন্ত নিরাপদ না। অথচ এ দেশের সরকার নারীদের উন্নয়নের জন্য নিয়েছেন হাজারো উদ্যোগ। এদেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী, সংসদের স্পিকার নারী, শিক্ষা মন্ত্রী নারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নারী দেশের এত উচ্চ পর্যায়ে নারীদের অবস্থান থাকার পরেও প্রতিনিয়ত সংবাদের পাতায় নারী নির্যাতনের খবর দেখতে পাই। তাহলে আসলে সমস্যা ঠিক কোন জায়গায়? এক তরফা ভাবে শুধুই সরকারের উপরে দোষ চাপিয়ে দিয়ে দিয়ে লাভ নেই ৷ কোন সরকার চান না তার দেশে নারী ধর্ষন হোক ৷ আমাদের নিজেদের নোংরা মানষিকতার জন্যেই নারীদের আমরা ভোগ্যপণ্য মনে করি। প্রেম করেছে, বাবা মায়ের প্রশ্রয়, হিজাব পড়েনি ,পর্দা করেনি এ ধরনের হাজারো মন্তব্যের দেখা মিলে অথচ ধর্ষকের শাস্তি নিয়ে যেনো মানুষের কোন মাথা ব্যথা নেই৷ তাদের সমস্ত আগ্রহ ঐ মেয়েটিকে নিয়েই । শুধু মাত্র যে ঘটনা গুলো ভাইরাল হয়ে আলোড়ন তুলে শুধু মাত্র সে ঘটনা নিয়েই কিছুদিন হৈচৈ হয় তারপর আবার আর কোন খোজ থাকেনা ৷
তর্কের খাতিরে যদি মেনেও নেই শুধু মাত্র নারীদের পোষাকের কারণেই তারা নির্যাতিত হয় তবে যে ছোট্ট শিশু গুলোও আপনাদের লালসা থেকে রেহাই পায়না সে ক্ষেত্রে আপনারা কি বলবেন? এই বাচ্চাদের তো ধর্ম বোঝার মতো বয়স ই হয়নি। তবে তাদের উপরেও কেনো এই অত্যাচার?
৫ বৎসরের শিশু ধর্ষন করে ৷ মাত্র ৫ বৎসরের শিশু যে পৃথিবীর কিছুই তো বুঝতে শিখেনি। এখানে আপনি ধর্মের কি ব্যাখ্যা দাড় করাবেন? এরা শুধুই ধর্মের লেবাসে ধর্মকে কলংকিত করে।
গত কাল নিউজ দেখলাম ধর্ষন করে মেরে ফেলেছে ৷ ৬/০১/২০২০ তারিখ শুনলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ফেলে রেখে চলে গেছে ৷ তার পূর্বে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কাছে নূসরাত রক্ষা পায়নি ৷ কিভাবে পারে এ অমানুষগুলো? একজন ধর্ষক সে কি মেনে নিবে তার মা,বোন বা স্ত্রী ধর্ষন হোক ? সে নিজে কি অন্যের দ্বারা ধর্ষিত নারীকে বিয়ে করতে রাজি হবে ? কখনও না ৷ তাহলে ধর্ষন কেন ?
আসলে যতদিন না আমরা আমাদের নিজেদের পরিবর্তন করতে না পারবো ততদিন যতই ধর্ম অথবা সরকারের দোহাই দেই না কেনো এ সমস্যার কোনদিন সমাধান হবে না। পাশাপাশি ধর্ষকদের যদি কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হতো তাহলে কেউ অপরাধ করার আগে দশবার ভাবতো। বেশীর ভাগ সময় দেখা যায় প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। ধর্ষকের শাস্তি সর্বোচ্চ মৃত্যু দন্ড হওয়া উচিত ৷ দ্রুত বিচার ট্টাইবুনালে বিচার হওয়া দরকার ৷ প্রয়োজনে জনসম্মূখে ৷
তাই আসুন ধর্ষন, নারী নির্যাতন থেকে রক্ষার জন্য আমরা যারা পুরুষ আছি আমাদের বিবেককে জাগ্রত করি ৷ সব নারীই কারও মা, বোন, স্ত্রী বা কন্যা ৷ আমরা সবাই সচেতন হই ৷ নারী ধর্ষন প্রতিরোধে এগিয়ে আসি ৷
Leave a Reply